<p>শ্রীলঙ্কায় ২৩০ জনেরও বেশি চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো অনলাইন প্রতারণার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিতা হেরাথ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।</p> <p>বেইজিং থেকে পাঠানো নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সহায়তায় এই অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেরাথ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে পরিচালিত পুলিশের অভিযানে ২৫০টি কম্পিউটার ও ৫০০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এগুলো প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল। ঠিক কত পরিমাণ অর্থ চুরি হয়েছে, তা নির্ধারণের জন্য তদন্ত এখনো চলছে।  </p> <p>এ ছাড়া অভিযুক্ত দলগুলোর ব্যাপারে হেরাথ বলেন, ‘তারা মূলত বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করেছে।’</p> <p>অন্যদিকে কলম্বোতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের একটি ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ পাঠিয়েছে, যারা শ্রীলঙ্কান পুলিশের সঙ্গে মিলে ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালনা করেছে। অসংখ্য সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রত্যাবাসনসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।</p> <p>সবচেয়ে বড় অভিযানটি পরিচালিত হয় শনিবার। পুলিশ সেদিন ১২৬ জন চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে ভিয়েতনামের দুজন এবং থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের একজন করে নাগরিককেও আটক করা হয়।  </p> <p>শ্রীলঙ্কায় শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো রয়েছে। দেশটির আর্থিক বিপর্যয়ের তিন বছর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করে।  </p> <p>দূতাবাসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, চীনে সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হচ্ছে। তাই কিছু অপরাধী বিদেশে সুযোগ খুঁজতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগে সহযোগিতা আরো জোরদার করতে প্রস্তুত চীন।</p> <p>এ বছরের জুন মাসেও পুলিশ ২০০ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছিল, যাদের বেশির ভাগই ভারতীয়। তাদের বিরুদ্ধেও অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল।</p> <p>সূত্র  : এএফপি</p>