<p>জার্মানির জোট সরকার বিরোধী দল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নিতে চায়। সেই লক্ষ্যে দেশটির সরকার বৃহস্পতিবার একাধিক প্রস্তাব পেশ করেছে।</p> <p>জোলিঙেনের ঘটনার জের ধরে জার্মান সরকার বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের খসড়া প্রকাশ করেছে। এর আওতায় অস্ত্র বহন সংক্রান্ত আইন আরো কড়াকড়ি করা হবে, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রাপ্য সুবিধার ক্ষেত্রে নতুন সীমা স্থির করা হবে এবং উগ্র ইসলামপন্থি হুমকির আশঙ্কা দেখা দিলে তা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে পুলিশের ক্ষমতা আরো বাড়ানো হবে।</p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ও আইনমন্ত্রী মার্কো বুশমান এই সব প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। যেমন কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কোনো দেশে প্রথমে নথিভুক্ত হলে তিনি জার্মানিতে কোনো সামাজিক ভাতা পাবেন না।</p> <p>জার্মানিতে প্রকাশ্যে ছুরি বহন করার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা আরো কড়া করে সুইচব্লেড জাতীয় ছুরিও বহন করা যাবে না। উৎসব, ক্রীড়া ম্যাচ, প্রদর্শনী, দোকান-বাজার ও অন্যান্য সমাবেশেও এমন অস্ত্র নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব আনা হচ্ছে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রেনেও ছুরি বহন করা চলবে না। </p> <p>এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স সংক্রান্ত নিয়মও আরো কড়া করতে চান জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অস্ত্র ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করলে বিদেশিদের প্রত্যর্পণ আরো সহজ করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। বুশমান বলেন, ভবিষ্যতে বেপাত্তা হওয়ার কারণে কোনো বিদেশিকে প্রত্যর্পণে কর্তৃপক্ষের অসহায়তা বন্ধ করতে হবে।</p> <p>এমন সব প্রস্তাবের ভিত্তিতেই জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের জোট সরকার বিরোধী দল ও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সংলাপে বসতে চায়। তিনি এত ‘দ্রুত’ ও এত ‘সুনির্দিষ্ট’ প্রস্তাব সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।</p> <p>উল্লেখ্য, সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই ফেডারেল ও রাজ্য সরকার এবং বিরোধী দলের এক ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রথম অধিবেশনে মিলিত হবে। তবে জার্মানির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বর্তমান সভাপতি ও হেসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরিস রাইন শলৎসের সরকারের প্রস্তাব সম্পর্কে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন।</p> <p>তার মতে, এ ক্ষেত্রে ‘ব্রেনস্টর্মিং’ করার জন্য মিলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে অবিলম্বে আমূল পরিবর্তন করতে হবে। প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবির সরকারের প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখে জার্মানিতে বেআইনি অনুপ্রবেশ কমানোর ওপর জোর দেবার কথা বলেছে।</p>