<p style="text-align:justify">বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) জানিয়েছে, বাংলাদেশে গত ২৭ বছরে ৪৪ শতাংশ পরিবার আয়োডিনের আওতায় এসেছে। এতে দৃশ্যমান গলগণ্ড রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। তবে ২৪ শতাংশ পরিবার এখনো আয়োডিনযুক্ত লবণের আওতায় আসেনি। </p> <p style="text-align:justify">সোমবার রজাধানীর তেজগাঁওয়ে বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব আয়োডিন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল (এনআই) ও গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) যৌথ সহায়তায় সভার আয়জন করে বিসিক।</p> <p style="text-align:justify">অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আয়োডিন একটি অত্যাবশ্যকীয় অনুপুষ্টি। মানুষের স্বাভাবিক, মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য যা অপরিহার্য। আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড, হাবাগোবা, বামনত্ব, অকাল গর্ভপাত, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিত্বসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ৯০ দশকের আগে দেশে আয়োডিন ঘাটতিজনিত সমস্যা প্রকট আকারে ছিল। এই সমস্যা সমাধানে ১৯৯০ সাল থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিসিক আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। ১৯৯৩ সালে আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যার হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে ৪৪ শতাংশ পরিবারে আয়োডিনের সমস্যা সমাধান হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বক্তব্য স্পষ্ট করলেন রাষ্ট্রপতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729518911-3665ec790f77d363e0d460c02cc3d68f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বক্তব্য স্পষ্ট করলেন রাষ্ট্রপতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/21/1437607" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বিসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লবণ মিলের নিবন্ধন দেয়া, লবণ মিলগুলোকে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ, আয়োডিনযুক্ত লবণের মান নিয়ন্ত্রণ, কারিগরি সহায়তা দেওয়া, লবণ মিল ও বাজার পর্যায়ে মনিটরিং পরিচালনা করে আসছে। ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় ৭৬ শতাংশ পরিবার আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করছে। আর বাকি ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার এখনো আয়োডিনের আওতায় আসেনি। তবে কোনো দেশের ৯০ শতাংশ পরিবার আয়োডিনের আওতায় আসলে আন্তর্জাতিকভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। ফলে আর ১৪ শতাংশ পরিবারকে আয়োডিনের যুক্ত লবণের আওতায় আনা গেলে, স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হবে।</p> <p style="text-align:justify">আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন আহাম্মদ খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিকের লবণ সেলের প্রধান সরোয়ার হোসেন। বিসিকের শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিভাগের পরিচালক মো. আহসান কবীরের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিসিকের অর্থ বিভাগের পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, প্রশাসন বিভাগের পরিচালক শ্যামলী নবী, দক্ষতা ও প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক কাজী মাহাবুবুর রশিদ, প্রকৌশল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল মতিন, বিপণন, নকশা ও কারুশিল্প বিভাগের পরিচালক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, এনআইয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর সায়কা সিরাজ ও গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপকরণ বিভাগের উপব্যবস্থাপক তারানা জাহান তানিয়া ও নকশাবিদ শেখ আলী আশরাফ ফারুক।</p>