<p>সদ্যই মুক্তি পেয়েছে ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’-এর তৃতীয় সিজন। সচিব জি’সহ এই সিরিজের প্রতিটি চরিত্রের জন্য ভক্তদের আলাদা উন্মাদনা। সিরিজের সব চরিত্রই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম বনরাক্ষস চরিত্রটি। ‘পঞ্চায়েত ৩’-এ বনরাক্ষস অর্থাৎ ভূষণের চরিত্রটি আলাদাভাবেই জায়গা করে নিয়েছে দর্শকদের মনে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুর্গেশ কুমার।</p> <p>‘পঞ্চায়েত’-এর প্রথম মৌসুমে দুর্গেশের মাত্র এক দিনের চরিত্র ছিল। তার জন্য প্রায় আড়াই ঘণ্টার শুটিং করেছিলেন। তবে পঞ্চায়েত মুক্তির পর ভূষণের চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে পরিচালক দীপক কুমার মিশ্র ও চিত্রনাট্যকার চন্দন কুমার ভূষণের চরিত্রটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে পঞ্চায়েতের সাফল্যের আগে ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে এই অভিনেতাকে। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে পাস করার পরও যাকে বছরের পর বছর লড়াই করে যেতে হয়েছে একটা সুযোগ পাওয়ার জন্য। এমনকি সফট পর্ন ফিল্মেও অভিনয় করতে দ্বিধাবোধ করেননি তিনি।</p> <p>এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দুর্গেশ জানান, ২০১৬ সালের ২৮ মে তিনি মুম্বাইয়ে এসেছিলেন। চোখে ছিল অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন। সে সময় কাস্টিং ডিরেক্টরদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন। অডিশনের পর অডিশন দিয়েছেন। একসময় কাস্টিং ডিরেক্টরদের পায়েও পড়েছেন। একটা যদি সুযোগ পাওয়া যায়! কিন্তু পাননি। বারবার হতাশ হতে হয়েছে। একসময় নাকি সফট পর্ন ফিল্মে অভিনয় করতেও বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘অভিনয় ছাড়া আমি থাকতে পারব না। যা পেয়েছি তা-ই করেছি। নিজের দক্ষতার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’</p> <p>সাক্ষাৎকারে দুর্গেশ জানান, গত ১১ বছরে দুইবার মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছেন তিনি। তাই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন যারা দেখেন, তাদের ভেবে-চিন্তে এই পেশায় আসার পরামর্শ দেন। এই পেশার জন্য মনের জোর, শরীরের জোরের পাশাপাশি অর্থের জোরও প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে পঙ্কজ ত্রিপাঠি, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির নামও নেন দুর্গেশ। দুর্গেশ বলেন, ‘পঙ্কজ ত্রিপাঠির ব্যাচে তো আরো ২০ জন ছিলেন। তাদেরও প্রতিভা ছিল। কোথাও দেখতে পান তাদের? নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ব্যাচেও ৩০ জন ছিলেন।’</p> <p>পঞ্চায়েত ছাড়াও দুর্গেশকে সম্প্রতি দেখা গেছে কিরণ রাওয়ের পরিচালনায় প্রশংসিত চলচ্চিত্র ‘লাপাতা লেডিস’-এ। পঞ্চায়েতের তৃতীয় সিজনের ব্যাপক সাফল্যে এখন একের পর এক কাজের প্রস্তাবও আসছে অভিনেতার হাতে।</p>