<p style="text-align:justify">রাজধানীর কর্মব্যস্ত এলাকায় ছোট্ট একটি দোকান। তার সামনেই চার তরুণ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে। কিছুক্ষণ পর পর সেখানে আসে কিশোরসহ নানা বয়সী কয়েকজন। পরে দুটি মোটরসাইকেলে এলেন দুই তরুণ। পকেট থেকে টাকা বের করলেন। এক মাদক কারবারি কয়েক পদের মাদক তাঁকে ধরিয়ে দিলেন।</p> <p style="text-align:justify">অতিসম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের একটি গলিতে প্রকাশ্যে এভাবেই মাদক কারবার চলার দৃশ্য নজরে আসে। এ সময় আড়াল থেকে স্থানীয় এক বাসিন্দার একটি মোবাইল ফোনের ভিডিও চিত্রে এ দৃশ্য ধরা পড়ে। ভিডিওটি কালের কণ্ঠ’র হাতে এসেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশ নিয়ে গর্ববোধ করার প্রবণতা কমছে তরুণদের মধ্যে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730955067-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশ নিয়ে গর্ববোধ করার প্রবণতা কমছে তরুণদের মধ্যে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/07/1443787" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">জানা যায়, সেখানে অন্তত চারজন পেশাদার মাদক কারবারি ছিলেন। তাঁরা রাতবিরাত অনেকটা প্রকাশ্যে এভাবে মাদক বেচেন। এসব শীর্ষ মাদক কারবারির বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন কথা বলতে ভয় পায়।</p> <p style="text-align:justify">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক মুরব্বি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এলাকায় মাদক ব্যবসা এখনো রমরমা।’ </p> <p style="text-align:justify">বর্তমানে শীর্ষ মাদক কারবারির ছয়টি গ্রুপ মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের রয়েছে তিন শতাধিক সদস্য। অন্তত ৫৫ জন শীর্ষ মাদক কারবারি তাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন আরশাদ, পিচ্চি রাজা, শাহজাদা, বড় রাজা, পেলু আরমান ও মুন্না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশ নিয়ে গর্ববোধ করার প্রবণতা কমছে তরুণদের মধ্যে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730955067-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশ নিয়ে গর্ববোধ করার প্রবণতা কমছে তরুণদের মধ্যে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/07/1443787" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তাঁদের রয়েছে ৬০ জনের বেশি সদস্য। অপর গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছেন ভাঙ্গারি আরজু, তোতে, কামরান, সাজু, আদিল ও ফাইজান। এঁদের রয়েছে অন্তত ৪৫ জন সদস্য। আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বুনয়া সোহেল, রানা, টুনটুন, কামাল, কালা, শহীদ ও রাব্বানি। তাঁদেরও ৫০ জনের বেশি সদস্য রয়েছে। এ ছাড়া অন্য আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন গালকাটা মনু, শাহ আলম, ইমতিয়াজ, আকরাম চোরওয়া জানু, বিল্লু, সাবু, বাসির ও ইরফান। এঁদেরও ৫৫ জনের বেশি সদস্য রয়েছে। আরেক গ্রুপের নেতৃত্বে   রয়েছেন বাবু, সাদ্দাম, মনু, মোফিজ, সুমন, রাজু, নাদিম ও জাম্বু। এঁদের বেশির ভাগ এখনো ধরা পড়েনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সব গ্রাহককে একসঙ্গে টাকা দেওয়া অসম্ভব : বাংলাদেশ ব্যাংক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730954924-603490a13ff315bfaf7aae8a93907d04.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সব গ্রাহককে একসঙ্গে টাকা দেওয়া অসম্ভব : বাংলাদেশ ব্যাংক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/11/07/1443785" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">পুলিশ বলছে, ক্যাম্পে কড়া নজরদারি চলছে। মাদক কারবারের তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গত সাত দিনে জেনেভা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকা থেকে ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত ক্যাম্পে প্রচার চালানো হচ্ছে মাদক থেকে সরে আসতে। তারপরও ক্যাম্প থেকে মাদক নির্মূল করা যাচ্ছে না জানিয়ে পুলিশ বলেছে, তদন্তে উঠে এসেছে— ক্যাম্পের অন্তত ৬৫ শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মাদকের সঙ্গে যুক্ত। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল-বোমার আঘাতে মারা যান শীর্ষ মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল গ্রুপ সদস্য রাজ ওরফে ইকবাল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আইজিডব্লিউ কেলেঙ্কারি : সিন্ডিকেটের পকেটে ৮ হাজার কোটি টাকা!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730956148-4218fe6216f044f3f18533edc25e041a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আইজিডব্লিউ কেলেঙ্কারি : সিন্ডিকেটের পকেটে ৮ হাজার কোটি টাকা!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/07/1443793" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সরেজমিনে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে গিয়ে দেখা গেছে, আগে ক্যাম্পে প্রকাশ্যে মাদক কারবার চললেও এখন চলছে কিছুটা আড়ালে-আবডালে। ক্যাম্প ঘিরে থাকা গজনবী রোড, বাবর রোড, শাহজাহান রোড, হুমায়ুন রোডে রয়েছে পুলিশের ক্যাম্প, তল্লাশি চৌকি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতি। তবে কিছুরই তোয়াক্কা করছে না ক্যাম্পে বসবাসকারীরা।</p> <p style="text-align:justify">ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. রুহুল কবির খান বলেন, মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকায় যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গত সাত দিনে ১৮০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা পেশাদার সন্ত্রাসী। বেশির ভাগই কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের সদস্য। গ্রেপ্তার হওয়া একেকজনের বিরুদ্ধে তিন থেকে ২৫টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। তিনি দাবি করেন, অভিযানের কারণে মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে গেল স্বামী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/26/1721991862-1c7e89c3694f352a9c98241cec343367.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে গেল স্বামী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/07/26/1408944" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>পুলিশের ভাষ্য </strong>: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় মাদকসংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং নিয়মিত ফুট পেট্রল ও ব্লক রেইড হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে এসপিজিআরসি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে মাদকব্যবসা চলছে। এখানে বসবাসকারীরা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জীবিকার তাগিদে তারা ঝুঁকি নিয়ে মাদক কারবারের মতো অপরাধে জড়িয়েছে।</p>