<p style="text-align:justify">সকাল ১০টা। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মোড়ে প্রচণ্ড যানজটের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে ট্রাফিক পক্ষ-২০২৪ লেখা ড্যাংলার। তাতে লেখা রয়েছে, ‘সড়কে চললে আইন মেনে, শৃঙ্খলা ফিরবে জনপদে’, ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলি, দুর্ঘটনামুক্ত জীবন গড়ি’। কিছু শিক্ষার্থীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘হেলমেট ব্যবহার করুন নিরাপদ থাকুন’, ‘অতিরিক্ত গতিতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে’, সড়কের আইন মেনে পুলিশকে সহায়তা করুন’।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্যারিস্টার সুমনের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730003654-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্যারিস্টার সুমনের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/10/27/1439628" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">শিক্ষার্থীদের গাড়ির চালক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে এভাবেই সচেতন করতে দেখা যায় গতকাল শনিবার।</p> <p style="text-align:justify">গত ২১ অক্টোবর রাজধানীতে শুরু হয়েছে ট্রাফিক পক্ষ, যা চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ট্রাফিক পক্ষে পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে রয়েছে রোভার স্কাউট, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।</p> <p style="text-align:justify">যাত্রাবাড়ী ছাড়াও গতকাল সকালে রাজধানীর দোলাইরপাড়, শাহবাগ, বাংলামোটর, মগবাজার, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শ্যামলী, বিজয় সরণি এলাকায় শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, দুই শিফটে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করছেন তাঁরা। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রাফিক পক্ষ উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে দায়িত্ব পালন করবেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="না চাইলেও একই চিন্তা বার বার ফিরে আসে কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730003204-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>না চাইলেও একই চিন্তা বার বার ফিরে আসে কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/prescription/2024/10/27/1439621" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীতে ট্রাফিক পয়েন্ট রয়েছে ৩৩৯টি। পয়েন্টগুলোতে তিন হাজারের বেশি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে রাত-দিন দায়িত্ব পালন করতে হয়। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজধানীর সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন না করায় পুরো রাজধানী অরক্ষিত হয়ে পড়ে। তখন যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ ফিরলে ঘরে ফেরেন শিক্ষার্থীরা।</p> <p style="text-align:justify">তবে এখনো রাজধানীতে যানজটসহ পরিবহনের বিশৃঙ্খলা উল্লেখযোগ্য। এ অবস্থায় ‘ডিএমপির ট্রাফিক পক্ষ ২০২৪’ উদযাপন করা হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">ডিএমপির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ট্রাফিক পক্ষে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে এক হাজার স্কাউট নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে যুক্ত করে দিচ্ছেন।</p> <p style="text-align:justify">জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নাজমুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা এক হাজার স্কাউট চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ জন। যাঁদের মধ্যে সকাল-বিকেল দুই শিফটে ২০০ থেকে ২৫০ জন সচেতনতার কাজ করছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এতেই তাঁরা খুশি। শিক্ষার্থীরা উৎসাহ নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।</p> <p style="text-align:justify">এর প্রমাণ পাওয়া যায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদুল ইসলামের কথায়। তিনি ট্রাফিক পক্ষ শুরু থেকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে প্রতিদিনই কাজ করছেন পুলিশের সঙ্গে। মানুষকে রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সচেতন করার পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে ফুটপাত পরিষ্কারেও অংশ নেন তাঁরা। নাহিদুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের খুব ভালো লাগছে। কোনো কিছুর আশায় আমরা এ কাজ করছি না। আমরা যদি সামান্য উপকারেও আসি, তাতেও নিজেদের স্বার্থক মনে করি।’</p> <p style="text-align:justify">এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাফিকের কাজটি অত্যন্ত পরিশ্রমের। যেটা দায়িত্ব পালন করতে আসা শিক্ষার্থীরাই বলছেন। এই কঠিন কাজটি করার জন্য শিক্ষার্থীদের জোর করা হচ্ছে না। তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী এসে দুই-তিন ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে চলে যাচ্ছেন। যতক্ষণ করছেন ততক্ষণই তাঁরা ব্যস্ত থাকছেন সড়কে চলা জনসাধারণকে সচেতন করার কাজে।</p>