<p style="text-align:justify">বিকল্প সড়ক না রেখে একযোগে সব সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করায় সম্পূর্ণরুপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন রাজধানীর দক্ষিণ খান ও উত্তরখানের বাসিন্দারা। সড়ক খুড়ে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখায় বৃষ্টি ও ড্রেনের পানিতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই দুই এলাকার ৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তারা জানান, কোনো রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ারও রাস্তা অবশিষ্ট নেই। রাস্তার মধ্যে গর্ভবতী মহিলাদের সন্তান প্রসবের মত মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে।</p> <p style="text-align:justify">এমতাবস্থায় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর দক্ষিণ খান বাজারে দক্ষিণ খান ও উত্তরখান বাসীর আয়োজনে রাস্তার উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করা ও দুর্ভোগ নিরসনে  মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে নানাবিধ অভিযোগ ও ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন স্থানীয়রা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পূজায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলেন সেনাপ্রধান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/11/1728648592-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পূজায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলেন সেনাপ্রধান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/11/1434102" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">মানববন্ধনে দক্ষিণখান-উত্তরখান সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ইয়াছিন রানা বলেন, ‘২০১৬ সালে এই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটির আওতায় আসার পর থেকে পরিপূর্ণরুপে উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। সিটি নির্বাচনের ছয় বছর পরে এসেও এখানকার চিত্র বদলায়নি। বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা তলিয়ে যায়, হাটার মত অবস্থা থাকে না। সড়ক খনন নীতিমালা না মেনে সব রাস্তা এক সাথে কাটায় স্বাভাবিকভাবে মানুষ যাতায়াত করতে পারে না। অফিস করতে উত্তরা বা বিমানবন্দর যেতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়, কয়েক কিলোমিটার রাস্তা হেটে পাড়ি দিতে হয়। ১০ টাকার অটো ভাড়া ৫০ টাকা নেয়া হয়। বৃষ্টি হলে রিকশা চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।’</p> <p style="text-align:justify">ইয়াছিন রানা বলেন, ‘এই এলাকায় সিটি করপোরেশনের কেউ পরিদর্শনেও আসেন না। তারা উত্তরা, গুলশান, মিরপুরেই শুধু পরিদর্শন করেন। তাদের কাছে জানতে চাই,  উত্তরা-গুলশানের বাসিন্দারা এ গ্রেডের নাগরিক, আর দক্ষিণ খান-উত্তরখানের বাসিন্দাদের সি গ্রেডের নাগরিক হিসেবে কেনো তারা মূল্যায়ন করছেন তা স্পষ্ট করতে হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে মারা যাওয়া প্রবাসীর লাশ চৌদ্দগ্রামে দাফন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/11/1728647991-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে মারা যাওয়া প্রবাসীর লাশ চৌদ্দগ্রামে দাফন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/11/1434101" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">মানববন্ধনে দক্ষিণখান-উত্তরখানের জনগণের পক্ষে ৭টি দাবি তুলে ধরেন তিনি। দাবিগুলো হল: এক. কাজের গতি যেকোনো উপায়ে দ্রুত বৃদ্ধি করা; দুই. জরুরী চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লোকবল বৃদ্ধি করে চলাচল উপযোগী করা; তিনি. যে সব রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে সেগুলোর একটি টাইম সিডিউল দিয়ে দিতে হবে। কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে- এটা জানিয়ে প্রত্যেক রাস্তায় তা লিখে টানিয়ে দিতে হবে; চার. যেসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছেন তাদের নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বার জানিয়ে দিতে হবে; পাঁচ. রাস্তার কাজের মান নিয়ে সাধারণ জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে, এ বিষয়ে সঠিক তদারকি করতে হবে; ছয়. নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ চলতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার কাজ ভালো মানের উপকরণ দিয়ে করার আদেশ জারি করতে হবে; সাত. কোনো ঠিকাদার যথাযথভাবে কাজ না করলে কিংবা অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">মানববন্ধনে দক্ষিণ খান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খলিল মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগ-ভোগান্তি নিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। সকল রাস্তা একই সময়ে কেটে ফেলা কোন নীতিমালার মধ্যে পড়ে, তা জানতে চাই।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিপিএল ড্রাফটের গ্রেডিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইমরুল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/11/1728647633-6e0d553e522cdbfb8d932b83b15a44bf.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিপিএল ড্রাফটের গ্রেডিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইমরুল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/10/11/1434100" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, দারুল উলুম মাদরাসা মসজিদের খতিব গিয়াস উদ্দিন মাদানী, ফয়সাল  হোসেন, বারিকুল ইসলাম শোভন, সাজ্জাদ হোসাইন, এহসানুল হক শোভন, মোক্তদির মুন, মামুন হোসেন জমিদার, জয়নাল আবেদিন অনিক, সাইদুল ইসলাম সুমন, মুফতি খায়রুল হোসেন, মুফতি মাসুদুর রহমান, সালাউদ্দিন প্রমূখ।</p> <p style="text-align:justify"><br />  </p>