<p style="text-align:justify">রাজধানীর উত্তরায় উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ দুর্গাপূজা আয়োজনে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পূজার স্থান নির্ধারণী বৈঠক ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উত্তরার মুগ্ধ চত্বরকে সর্বসম্মতিক্রমে এবারের দুর্গাপূজা আয়োজনের চূড়ান্ত স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিয়াবাড়ী আর্মি ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতা, রাজনৈতিক নেতা, থানা কর্মকর্তা, ছাত্র প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।</p> <p style="text-align:justify">সভায় দিয়াবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাহসিন উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা চাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে হোক। সে জন্যই এলাকাবাসীর সহযোগিতা সবার আগে প্রয়োজন।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সেক্টরের খেলার মাঠে পূজা আয়োজন নিয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধনের বিষয়টি উঠে আসায় আমরা নিরাপদ স্থানে পূজার স্থান নির্ধারণ করতে চাই। পূজা কমিটির নেতারা উত্তরার দুটি স্থানের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা বলেছি, আপনাদের সুবিধামতো দু-স্থানের যেকোনো এক স্থানে বেছে নিতে পারেন। আশা করি, আপনারা এলাকাবাসী সহযোগিতা করবেন।’</p> <p style="text-align:justify">এ সময় বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা, ছাত্র প্রতিনিধি ও সেক্টর কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিরা পূজা আয়োজনের স্থানকে স্বাগত জানায়। </p> <p style="text-align:justify">ঢাকা মহানগর উত্তরা পশ্চিম শাখা পূজা কমিটির সহসভাপতি সন্দীপ কুমার বলেন, ‘পূজার আয়োজন সম্পন্ন করতে আমরা উত্তরার মুগ্ধ চত্বর অথবা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর জমজম টাওয়ারসংলগ্ন খালি জায়গার প্রস্তাব দিয়েছি। তবে আয়োজনের সার্বিক সুবিধা বিবেচনা মুগ্ধ চত্বর হলে আমাদের জন্য ভালো হয়। এ কাজে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আপনারা এলাকাবাসী যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করছে সে জন্য আপনাদের আমরা সম্মান জানাই।’</p> <p style="text-align:justify">সভায় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হোসাইন, বিএনপি নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মোস্তফা জামান, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি মো. শাহ জহিরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি এহসান সাদি, মাইন সাগর, ফারুকসহ স্থানীয় সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন। </p> <p style="text-align:justify">প্রসঙ্গত, উত্তরার বিভিন্ন আবাসিক সেক্টরগুলোতে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও আবাসিক পরিবেশ বিবেচনায় খোলা স্থানে দুর্গাপূজা আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিল। তারই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সবার সম্মতিতে পূজার স্থান নির্ধারণে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।</p>