<p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার ছত্রচ্ছায়ায় রাজধানীর পল্লবী এলাকায় ‘শ্রী শ্রী গৌর নিতাই মন্দির’ দখলের অভিযোগ উঠেছে। শ্রী শ্রী গৌর নিতাই মন্দির ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ইলিয়াস মোল্লার লোকজন সেবায়েতদের মারধর করে মন্দিরটি দখল করে। দখলকারীদের উচ্ছেদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তারা।</p> <p style="text-align:justify">আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন মন্দিরের সেবায়েত ড. সুবেন্দু তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ঢাকা প্রণবমঠ অধ্যক্ষ গণেশ মহারাজ, জাতীয় হিন্দু ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কালীপদ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মানিক চন্দ্র সরকার, হিন্দু যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুমন গোস্বামী পুলক, হিন্দু ছাত্র ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অজয় কুমার প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify">লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার ছত্রচ্ছায়ায় সুধীর গং ২০১৮ সালে শ্রী শ্রী গৌর নিতাই মন্দিরের ভক্তবৃন্দদের অমানবিক নির্যাতন করে সন্ত্রাসী কায়দায় অন্যায়ভাবে মন্দির থেকে বের করে দেয়। এরপর নানাবিধ মামলা দিয়ে হয়রানি করে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থানা, জেলা প্রশাসক, আর্মি দপ্তরসহ সর্বোচ্চ জায়গায় যোগাযোগ করেও স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাবে মন্দিরটি ফিরে পাওয়া যায়নি।</p> <p style="text-align:justify">আরো বলা হয়, ২০১৩ সালে মিরপুরের ক্যান্টনমেন্টে ১২ নম্বর চাকুলী মন্দির ও পূজা কমিটি পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে যথাযথ উন্নয়ন ও সুস্থ পরিচালনার জন্য অধ্যাপক ড. নির্মল কান্তি মিত্র, মিরপুর ডিওএইচএস সংলগ্ন অবসরপ্রাপ্ত হিন্দু সেনা কর্মকর্তাগণ ও জনসাধারণের বৈঠকের মাধ্যমে সরকারি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দালিলিকভাবে পরিচালনা কমিটির নিকট মন্দিরটি হস্তান্তর করেন। হস্তান্তরের পর জানা যায়-মন্দিরের যে জায়গা হস্তান্তর করা হয়েছে, সেই দাগ নম্বরের জমি এটি নয়। পরে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়ে মূল মন্দির নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার সহযোগিতায় সুধীর গং কর্তৃক মন্দির দখলের অপচেষ্টা শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে ইলিয়াস মোল্লা নিজে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুধীর গংয়ের মাধ্যমে পূজার নামে অস্থায়ী মন্দিরে ভক্তদের মারধর করেন এবং মন্দিরের প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় ড. সুবেন্দু তালুকদার বলেন, মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সহযোগিতায় স্থানীয় থানায় সুধীর গংদের বিরুদ্ধে আমি একটি মামলা দায়ের করি। সেই মামলাটি এখনো বিচারাধীন। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে সুধীরের দেওয়া মন্দির হস্তান্তরের জাল জালিয়াতির মামলাটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। পিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে কোনো জাল-জালিয়াতি বা প্রতারণা হয়নি। ইলিয়াস মোল্লাসহ সুধীর গংদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সাধারণ সকল ভক্তদের জন্য মন্দির উন্মুক্ত করা ও সকলের প্রার্থনার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। </p>