<p style="text-align:justify"><strong>বকফুলের মতো সাদা ফুল হলো মেডলা। পাহাড়ি অঞ্চল কিংবা চা-বাগানে এই ফুল ফোটে। সিলেটের আঞ্চলিক নাম বগুই। কোথাও কোথাও বাংগারা নামেও পরিচিত।</strong></p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong><strong>আরো পড়ুন</strong></strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><strong><img alt="আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/04/1728014935-f72bf878d534b87e2a2fa07745395bf6.jpg" width="100" /></strong></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p><strong>আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী</strong></p> </div> </div> </div> <strong><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/04/1431685" target="_blank"> </a></strong></div> </div> <p style="text-align:justify">আদি আবাস ভারত, ভুটান ও হিমালয়ের পাদদেশের উপউষ্ণ অঞ্চলের অনুচ্চ পাহাড়। গাছের পাতা উৎকৃষ্ট পশুখাদ্য, শুকনা পাতা পোকামাকড় দমনে কার্যকর এবং পুরনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার্য</p> <p style="text-align:justify">তখনো ভোরের আলো খুব একটা স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। রাতের ট্রেন আমাদের কুলাউড়া স্টেশনে নামিয়ে দিল। অটোরিকশা নিয়ে আবার ছুটতে শুরু করি বড়লেখা উপজেলার দিকে।</p> <p style="text-align:justify">দৃষ্টিসীমা থেকে দুই পাশের নিপাট দৃশ্যগুলো দ্রুত সরে যাচ্ছিল। হঠাৎ একগুচ্ছ সাদা ফুল দেখতে না দেখতেই অদৃশ্য হয়ে গেল। বকফুলের মতো মনে হলো। পরক্ষণে মনে হলো বকফুল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ বকফুল সাধারণত একসঙ্গে এত বেশি পরিমাণে ফোটে না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: টার্গেটে ছিলেন বিরোধী রাজনীতিক-সাংবাদিকরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/04/1728012026-ae8657ba6cc6bff265dceede2c2d89c2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: টার্গেটে ছিলেন বিরোধী রাজনীতিক-সাংবাদিকরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/04/1431682" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">পরের দিন আবার সেই ফুলটির দেখা পেলাম সমনবাগ চা-বাগানে। চারপাশে বেশ কিছু গাছ ছড়িয়ে আছে। গুল্মশ্রেণির এই গাছগুলো বাগানে ছায়াবৃক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আগে চা-বাগানগুলোতে ছায়াবৃক্ষ হিসেবে কড়ইগাছই বেশি দেখেছি।</p> <p style="text-align:justify">চা শ্রমিকরা জানালেন, গাছটির নাম মেডলা ( Tephrosia candida)। সিলেটের আঞ্চলিক নাম বগুই। কোথাও কোথাও বাংগারা নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম হোয়াইট হোয়ারে পি, হোয়াইট টেফরোশিয়া। আদি আবাস ভারত, ভুটান ও হিমালয়ের পাদদেশের উপ উষ্ণ অঞ্চলের অনুচ্চ পাহাড়। ইদানীং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চা-বাগানগুলোতে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে।</p> <p style="text-align:justify">তা ছাড়া সারা বিশ্বের উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলোতেও সহজলভ্য। ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য কিছুটা উঁচু ও মাঝারি ঘনত্বের বন পছন্দ। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা কিংবা জলাবদ্ধতা বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেও বেশ কয়েকটি মেডলাগাছ দেখেছি।</p> <p style="text-align:justify">গাছ গুল্মশ্রেণির, আড়াই থেকে সাড়ে তিন মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ডালপালা কিছুটা ছড়ানো বা বিক্ষিপ্ত ধরনের। পাতা বেশ ছন্দোবদ্ধ, বিপ্রতীপভাবে বিন্যস্ত, ততটা ঘনবদ্ধ নয়, ৫ থেকে ১১ মিলিমিটার লম্বা, কোমল, গাঢ়-সবুজ, কিনারা সরু রুপালি রেখায় চিত্রিত। দুধ-সাদা রঙের মুক্ত পাপড়ির ফুলগুলো ৫ থেকে ১৩ মিলিমিটার দীর্ঘ, বাইরের আবরণ ধূসর বাদামি রোমে আবৃত।</p> <p style="text-align:justify">বৃত্যাংশ ঘণ্টাকৃতির, ১৩ থেকে ১৫ মিলিমিটার দীর্ঘ, ফোটে পর্যায়ক্রমে। পাপড়ির অভ্যন্তরভাগ অসংখ্য অগভীর রেখায় চিত্রিত, মাঝখানে সুস্পষ্ট গভীর শিরা। ফুল শেষ হতে না হতেই আসে ফল। ফল শিমগোত্রীয়, চ্যাপ্টা, ৭ থেকে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা, তলোয়ারসদৃশ এবং বীজ প্রায় ২০টি। বেশি পরিপক্ব ফল আপনাআপনিই ফেটে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।</p> <p style="text-align:justify">সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায়, যেখানকার তাপমাত্রা সারা বছর ১৮ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় না, বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৭০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ এমন আবহাওয়ায় মেডলা ভালোই জন্মে। মালয়েশিয়ার আবহাওয়ায় প্রায় সারা বছর ফুল ফুটলেও ভিয়েতনামে ফোটে বছরে দুই মাস। গাছের পাতা উত্কৃষ্ট পশুখাদ্য, শুকনা পাতা পোকামাকড় দমনে কার্যকর এবং পুরনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার্য।</p>