<p>ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজে দুটি পৃথক পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন দুইজন। এনিয়ে রবিবার (২৭ অক্টোবর) কলেজে দুই অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এতে এক অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।</p> <p>সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২৬ সেপ্টেম্বর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. খায়রুল কবীর নিয়োগীকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও সারমিনা সাত্তার। সরানোর কারণ হিসেবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলি ২০১৯-এর বিধান অনুযায়ী এক বছরের বেশি সময় কারও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই।’ ওই চিঠিতে জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে সহকারী অধ্যাপক সহীদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।</p> <p>এই ঘটনার পর ১ অক্টোবর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের নতুন একটি কমিটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন হয়ে আসে। সেই কমিটির আহ্বায়ক হন নান্দাইল উপজেলার একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবদুস ছালাম। ওই কমিটি সভা করে ৩ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে খায়রুল কবীর নিয়োগীকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়।</p> <p>এদিকে আগের কমিটি বাতিল করে ২০ অক্টোবর আরেকটি নতুন কমিটি অনুমোদিত হয়ে আসে। এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খায়রুল কবীর নিয়োগী বলেন, তার কলেজ থেকে নতুন কমিটি গঠনের কোনো প্রস্তাব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়নি। কী করে ওই কমিটি সেখান থেকে অনুমোদিত হয়ে এসেছে তা কলেজ বা এলাকার কেউ জানে না।</p> <p>এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার কলেজে প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। সভা শেষে নতুন কমিটি বাতিল এবং সহীদুর রহমানের পদত্যাগ দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। </p> <p>বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে অধ্যক্ষ দাবিদার সহীদুর রহমান পদত্যাগ করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমিই বৈধ অধ্যক্ষ। পরিবেশ পরিস্থিতিরই কারণে সব করা সম্ভব।’</p> <p>এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সাত্তার জানান, এ সব দেখাশোনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো দায়িত্ব নেই।</p>