<p>নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বীর হাটাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাধা দেওয়ায় ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে হামলাকারীরা। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।</p> <p>ব্যবসায়ী মোতালিব মিয়া জানান, তিনি এলাকায় জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ হুমকি-ধামকি দিয়ে তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা নেন।</p> <p>তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তার কর্মচারী শামীম স্থানীয় বাজারে গেলে সুলতান মাহমুদের অনুসারী আরাফাত ও নাঈম তাকে মারধর করেন। এ সময় মোতালেবকে ফোন করে ফের ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। মোতালেব চাঁদা দিতে রাজি না হলে মঙ্গলবার বিকেলে সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে ২-৩ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তার দোতলা বাড়িতে হামলা চালায়। </p> <p>ঘরের আলমারি ভেঙে ১৮ ভড়ি সোনা ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। বাধা দেওয়ায় মোতালেবের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আছিয়া বেগম, মোতালেবের বড় ভাই মোঘল মিয়া, মোঘলের স্ত্রী কূহিনূর, তাদের ছেলে আসাদ, সাগর মিয়াসহ ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।</p> <p>আহতদের মধ্যে আছিয়া বেগম ও মোঘল মিয়া ঢাকার পৃথক দুইটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।</p> <p>সুলতান মাহমুদের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, মোতালিবের ভাই মাদক ব্যবসায়ী। মোঘল আমার একজন লোককে মারধর জন্য ধাওয়া করেছে। তাই তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মোতালিবের বাড়িতে হামলা করেছে।</p> <p>রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ‘বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>