<p style="text-align:justify">খুলনাসহ সারা দেশে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু ও লিজ প্রথা বাতিল, বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের অপসারণ দাবিতে শ্রম দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় হাজার হাজার শ্রমিক নগরীর রূপসার শ্রম ভবন ঘেরাও এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। খুলনা-যশোর আঞ্চলিক কারখানা কমিটির এ ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করে। </p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনি এবং সঞ্চালনা করেন খালিশপুর জুট মিল কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। </p> <p style="text-align:justify">শ্রমিক নেতারা জানান, বিগত সরকার লোকসানের অজুহাত তুলে সব রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে লাখ লাখ শ্রমিক পরিবার বেকার হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক হুমকি কেউ প্রতিবাদ করতে পারেননি। তাই অবিলম্বে খালিশপুর-দৌলতপুর জুট মিলস্সহ ২৬টি জুট মিলস জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ পাওনা অনুযায়ী সব বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। নোটিশ পে বাবদ দুই মাস, আট সপ্তাহের বেসিকের সমান প্রাপ্য মজুরি দিতে হবে। বোনাসের পরিবর্তে প্রদেয় অ্যাগ্রোশিয়া (নিদিষ্ট কর্মঘণ্টার ওপর ভিত্তি করে) করোনাকালীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ২০২০ সালের নতুন দুইটি উৎসব বোনাসের টাকা পরিশোধ করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">শ্রমিকরা বলেন, খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান দুর্নীতিবাজ। তিনি শ্রমিকদের পথে বসিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকারে পথে নামতে দেননি। অনিয়ম করে পদোন্নতি নিয়েছেন। নিজের আত্মীয়-স্বজনদের শ্রম দপ্তরের বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছেন। এই কর্মকর্তাসহ বিজিএমসি ও পাট মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। </p> <p style="text-align:justify">অপরদিকে শ্রমিকদের কর্মসূচি চলাকালীন বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকনেতাদের এক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কর্মকর্তারা বলেন, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং ওপর মহলে অবহিত করব। তবে শ্রম পরিচালকের অপসারণের ব্যাপারে আমরা কোনো ভূমিকা পালন করতে পারব না। এ কথা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের কানে পৌঁছলে তারা প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। পরবর্তী সময়ে শ্রম কর্মকর্তারা আগামী সাত দিনের জন্য শ্রমিকদের কাছে সময় চান। </p>