<p>মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিংগুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ওই নৈশ প্রহরীকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয় এলাকার ছাত্র-জনতা। </p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিশুকে কিছুদিন আগে স্কুলের একটি কক্ষে ধর্ষণচেষ্টা করেন নৈশ প্রহরী বরুণ ভূষণ সূত্রধর ওরফে সুবল। এর পর থেকে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেয়। তার অনুপস্থিতি দেখে স্কুলের শিক্ষকরা বুধবার তার বাড়িতে গেলে ছাত্রীর মা ঘটনাটি প্রকাশ করেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা বিদ্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। </p> <p>এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক কৃপাসিন্ধু চক্রবর্তী শিক্ষার্থীর পাশবিক নির্যাতনের শিকারের বিষয়টি জানতেন। কিন্ত বিষয়টি কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনকে অবহিত না করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাই কয়েক দিন আগে ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি জনসমক্ষে আসে এবং প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। <br /> এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিকেল ২টার দিকে অভিযুক্ত নৈশ প্রহরীকে আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যান। </p> <p>এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইফতেখায়ের হোসেন ভূঁইয়া জানান, পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অবহিত করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।</p> <p>এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ রায় বলেন, নৈশ প্রহরীকে এলাকার ছাত্র-জনতার হাত থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সেনাবাহিনী তাদের ক্যাম্পে নিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসা বাদ শেষে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে৷ এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে৷ তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>