<p style="text-align:justify">রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এক শিক্ষার্থীর মানিব্যাগ থেকে জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়ালবডি। এসময় দুইজন ছিনতাইকারী পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সংলগ্ন আবু সাঈদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেয় তিনজন ছিনতাইকারী। তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষার্থী আশপাশের লোকজনকে জানায় এবং ধাওয়া করে। এলাকার লোকজন একজনকে ধরলেও বাকি দুজন পালিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিকে সরাসরি তাজহাট থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়ালবডি।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, আটককৃতজন হলেন রংপুরের স্থানীয় আশরতপুরের আয়েদ আলীর ছেলে আশিক এবং পলাতক ২ জনের মধ্যে একজন হল একই এলাকার মৃত রহিমের ছেলে রিফাত এবং অপরজন হল স্থানীয় সালামের মোড়ের রিপন। তার পিতার নাম জানা যায়নি। এই তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা তিনজন মিলে পার্কের মোড় থেকে চা-নাস্তা করে আশরতপুর ম্যাসের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় হঠাৎ করে তিনজন অচেনা ব্যক্তি আমাদের আটক করে বলেন, তোমরা গত পরশুদিন বহিরাগতদের সঙ্গে হামলার কথা শুনেছ। এ সময় তারা আমার পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে ৭০০ টাকা নিয়ে ২০০ টাকা ব্যাক দেয়। তারপর বলে এখান থেকে চলে যাও। যদি কিছু বলো তো তোমাদের খবর আছে। এরপর আশপাশের লোকজনকে জানিয়ে আমরা তাদের ধাওয়া করি এবং একজনকে ধরতে পারি, বাকি দুজন পালিয়ে গেছে। আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে দিয়ে এসেছি। </p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা আটক ছিনতাইকারীকে সরাসরি থানায় পাঠিয়েছি। তিনিসহ পলাতক দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় এজহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে আশা করা যায়। </p> <p style="text-align:justify">তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহালম সরদার বলেন, ছিনতাইকারী আশিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে গত ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের মারামারির ঘটনায় তিনি জড়িত ছিলেন। তাই তিনিসহ বাকি দুজনের বিরুদ্ধে এই মারামারির ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক আশিককে আমরা এখন চালান দিব। এছাড়া ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বাইক চুরির ঘটনায় জড়িতদের আলাদাভাবে অজ্ঞাতনামা মামলা দেওয়া হয়েছে।</p>