<p>পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানির শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর করহার কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর করের হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এনবিআর থেকে ইস্যু করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।</p> <p>এর আগে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর ৩০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছিল, যার বিরূপ প্রভাব পড়েছিল শেয়ারবাজারে। এবার এই করহার কমানোর ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে মনে করে এনবিআর।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্রথমবারের মতো এস আলম গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/04/1730721646-7fa1b94807549bf7cb9fda2989122bb8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্রথমবারের মতো এস আলম গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/04/1442681" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> নতুন আদেশ অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার ক্রয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে অথবা পাঁচ বছরের পরে সব ক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনী আয়ের ওপর করের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর প্রদেয় আয়কর ও সারচার্জ বাবদ সর্বোচ্চ করের হার ৪০.৫০ শতাংশ কমে ২০.২৫ শতাংশ করা হয়েছে।</p> <p>এনবিআর সূত্র জানায়, শেয়ার ক্রয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে ওই শেয়ার ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বিক্রি করে মূলধনী আয় হলে তার ওপর সাধারণ হারে কর আরোপ করা হয়। তবে বিদ্যমান আইন অনুসারে ৫০ লাখ টাকার অধিক মূলধনী আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করের হার হলো ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া সম্পদশালী করদাতাদের প্রদেয় করের ওপর সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। এতে শেয়ারবাজার থেকে অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর আয়কর ও সারসার্জ বাবদ মোট ৪০.৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সোহেল তাজকে যে আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/04/1730720234-0b7fcf9bf91f0df985c61c25b03befe5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সোহেল তাজকে যে আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/04/1442674" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদশালী করদাতাকে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার অতিরিক্ত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এ ছাড়া প্রদেয় করের ওপর ৩৫ অর্থাত্ ৫.২৫ শতাংশ সারচার্জসহ মোট করভার হবে ২০.২৫ শতাংশ। তবে করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে সারচার্জের হার ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মোট করভার নিট সম্পদের ভিত্তিতে আরো কম হবে।</p> <p>পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে করের হার কমিয়ে খুব একটা লাভ হবে না বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।</p> <p>তবে করের হার কমানোকে খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল আমিন ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশের বাজারে কমল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/04/1730730225-4cdf551601d6c7f9abbd061ebd247d38.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশের বাজারে কমল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/11/04/1442734" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় করতে হলে নতুন কম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। এতে বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। শুধু করের হার কমিয়ে কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না।</p> <p>অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, এটা খুবই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। এটা যখন বসানো হয়েছিল, তখনই কাজটা ঠিক ছিল না। এতে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন তিনি।</p> <p>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই অংশীজনদের এটা চাওয়া ছিল। করের হার কমলে লেনদেন বাড়বে। সে ক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে শুধু করের হার কমানোই যথেষ্ট নয়; এ জন্য ফ্লোর প্রাইস না বসানো, বাজার আকর্ষণীয় করা, ভালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানোসহ সংস্কার প্রয়োজন।’</p>