<p style="text-align:justify">সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরো তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা ও অন্য দুটি হত্যাচেষ্টার মামলা। বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার পৃথক দুটি আদালতে এসব মামলা করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify"><strong>শিক্ষার্থী ইয়াসিন হত্যা</strong> : শিক্ষার্থী ইয়াসিন শেখকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে নিহতের মা মঞ্জিলা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে এ ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ৩১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।</p> <p style="text-align:justify">এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, হাছান মাহমুদ ও সালমান এফ রহমান। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন মো. ইয়াসিন শেখ। পরে ২৫ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অভিযানের খবরে পালিয়ে গেলেন ব্যবসায়ীরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728470989-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অভিযানের খবরে পালিয়ে গেলেন ব্যবসায়ীরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/10/09/1433456" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>আবু সুফিয়ানকে হত্যাচেষ্টা</strong> : মাদরাসার ছাত্র আবু সুফিয়ানকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে ভুক্তভোগীর চাচা কাওছার হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর এ ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ৩১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। </p> <p style="text-align:justify">এ মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ ফজলে নূর তাপস ও শেখ ফজলে শামস পরশ। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট মাদরাসার ছাত্র আবু সুফিয়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ নেন। সেখানে আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসাজশে নির্বিচারে গুলি করা হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন সুফিয়ান। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান ড. মোবাশ্বের মোনেম" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728467978-1fd2e9a4a0cd10ba551333699163b214.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান ড. মোবাশ্বের মোনেম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/10/09/1433454" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>বিএনপির কর্মী হত্যাচেষ্টা</strong> : দুই বছর আগে বিএনপির কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, অভিনেত্রী শমী কায়সারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধ মামলা করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে হাসান মাহমুদ এ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন</p> <p style="text-align:justify">মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা, দিলীপ বড়ুয়া ও হারুন অর রশীদ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আসিফ মাহমুদের হাস্যরস স্ট্যাটাস ভাইরাল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728467476-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আসিফ মাহমুদের হাস্যরস স্ট্যাটাস ভাইরাল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/09/1433451" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মশিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন হাসান মাহমুদ। আদালত মামলাটি আমলে না নিয়ে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। ২০১৯ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কমিশনার পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মাহমুদ। বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন তিনি। এজাহারভুক্ত আসামিদের মদদে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে প্রচারণা বন্ধ রাখতে বলে। এরপর ২০২২ সালের ২৫ জুন সন্ধ্যায় রামপুরা ব্রিজ থেকে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় আসামিরা। অজ্ঞাত স্থানে তার ওপর নির্যাতন চালায়। পরে তাকে ২৯ জুন হাতিরঝিলে ফেলে যায় তারা।</p>