<p>শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন মুরাদ এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার (৯ অক্টোবর) গৌরীপুর এলাকার কারখানায় প্রবেশের পর কাজ না করে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।</p> <p>দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে সন্ধ্যা ৭টার পর ডিউটি হলে টিফিন বিল ৫০ টাকা দিতে হবে। রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ হলে নাইট বিল ১০০ টাকা দিতে হবে। হাজিরা বোনাস বাড়াতে হবে। শুক্রবার জেনারেল ডিউটি করানো যাবে না। বাৎসরিক ছুটির টাকা দিতে হবে। ওভার টাইম কাটা যাবে না। ৫-৭ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান করতে হবে। ফিনিশিং ম্যানেজার আজিজ, কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার মো. ইমরান ও এডমিন ম্যানেজার মো. জিয়াকে বরখাস্ত করতে হবে। বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা পরিচালনা করতে হবে।</p> <p>বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, ‘মালিক পক্ষের কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করেছি। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্তসহ সব দাবি মানা হলেই কাজে যোগ দিব, না হলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’</p> <p>মুরাদ এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার মালিক মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘শ্রমিকরা যে-সব দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তার মধ্যে কিছু যৌক্তিক এবং কিছু অযৌক্তিক। এর মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো আমার বিজিএমইএর নির্দেশনা অনুযায়ী মেনে নিয়েছি। বিজিএমইএ আমাদের যে নির্দেশনা প্রদান করবে আমরা সেভাবেই কারখানা পরিচালনা করব। এর বাইরে কোনো অযৌক্তিক দাবি মানতে পারব না।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘সরকার এবং বিজিএমইএর নির্দেশনা মেনে নেওয়ার পরও যারা এই মুহূর্তে অযৌক্তিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে এরা একটি সিন্ডিকেট। এর আগে এসব শ্রমিকরা যে-সব কারখানায় কাজ করেছে সেগুলো ধ্বংস করে আমাদের কারখানাটিও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। আমার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতায় কোনোদিন এরকম পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। এভাবে আমি কারখানা চালাতে পারব না। এভাবে চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।’</p> <p>আশুলিয়া শিল্প পুলিশ ১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘মুরাদ এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা সকাল থেকেই ১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। মালিকপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। এর বাইরে শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য কারখানাগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’</p> <p>শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে আঞ্জুমান ডিজাইনার লিমিটেড, সাদ ফ্যাশন লিমিটেড, আল মুসলিম এ্যাপারেলস লিমিটেডসহ চারটি কারখানা এবং সাধারণ ছুটিতে রয়েছে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও ডেকো ডিজাইন লিমিটেড কারখানা।</p> <p>এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান গোলাম সারোয়ার।</p>