<p style="text-align:justify">‘আমাদের সম্মান দেন। এইটুকু সম্মান আশা করি।’ বুধবার (২ অক্টোবর) নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের রিমান্ড শুনানিতে হট্টগোলের এক পর্যায়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এ মন্তব্য করেন। </p> <p style="text-align:justify">এদিন নজরুলকে আদালতে তোলা হয়। এরপর বিচারক বলেন, ‘আপনারা কেউ আমার অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারবেন না। কোর্ট চলাকালীন এদিক-ওদিক থেকে কথা বললে আমি এজলাস ছেড়ে চলে যাব। বিচারক এরপর সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাহাবুল ইসলাম জিজ্ঞাসা করেন, ‘গ্রেপ্তর কখন করেছেন? এর মাঝে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? উনার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে?’ তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের সঙ্গে আসামির পরিচয় আছে।’ বিচারক বলেন, ‘পরিচয় থাকলেই তাকে রিমান্ডে পাঠাতে হবে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা কিছুই বলতে পারেননি। এরপর আইনজীবীরা এজলাসে হট্টগোল শুরু করেন। আইনজীবীরা বলেন, ‘আপনি এত প্রশ্ন কেন করছেন?’ এ সময় আরো কয়েকজন ধমকে ওঠেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশে ফিরেছেন মিজানুর রহমান আজহারী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727872983-d515dc95be25e9e1402d10e15171dc23.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশে ফিরেছেন মিজানুর রহমান আজহারী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/02/1431124" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তখন উচ্চস্বরে কথা বলা একজন আইনজীবীর পরিচয় জানতে চান বিচারক। জবাবে ওই আইনজীবী বলেন, ‘জজ কোর্ট বারের সিনিয়র আইনজীবী।’ বিচারক বলেন, নাম বলেন। এ সময় আশপাশের আরো কয়েকজন আইনজীবী বলেন, ‘নাম কেন বলতে হবে? উনি আপনার চেয়ে সিনিয়র। সম্মান দিয়ে কথা বলেন। নাম কেন বলতে হবে?’ </p> <p style="text-align:justify">বিচারক তখন বলেন, ‘আপনারা কোর্টের সঙ্গে যে ব্যবহার করছেন তাতে আমরা লজ্জিত। আদালতকে যদি আপনারা কথা বলতে না দেন তাহলে আমরা কিভাবে কাজ করব। আমি কী রকম মানুষ আপনারা জানেন। আমিও চাই, যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচার হোক।’ </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯২ শতাংশ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727873565-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯২ শতাংশ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/10/02/1431121" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুল ইসলাম কেন ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন, সেটি ব্যাখ্যা করেন। এ সময় বিচারক আবারও প্রশ্ন করেন। আবার হট্টগোল শুরু করলে কয়েকজন আইনজীবী তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। বিচারক বলেন, ‘আপনাদের যদি আমাকে ভালো না লাগে, তাহলে জানান, চলে যাই। ঢাকার আদালতে আমরা থাকতে আসিনি। আদালতের কাজ করতে দিন।’ </p> <p style="text-align:justify">এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম আল সাইফুল রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন।</p>