<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকট ডলার সংকটের কারণে দুই বছর ধরে কম গুরুত্বপূর্ণ ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে সরকার। সরকারের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখা। এটার কিছু সুফলও সরকার পেয়েছে। তবে বিলাসী পণ্য নিয়ন্ত্রণের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ভোগ্য পণ্যের আমদানিতে। ডলারের অভাবে ভোগ্য পণ্যের আমদানিকারকরাও চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছেন না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় নিত্যপণ্যের এলসি খোলা কমেছে ৮.৫৮ শতাংশ এবং এলসি নিষ্পত্তি হওয়া কমেছে ১৭.৫৭ শতাংশ। তবে শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪.৬৬ শতাংশ ও ৮.২৬ শতাংশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে ভোগ্য পণ্যের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কমেছে। আর এটার প্রভাব পড়েছে বাজারের ওপর। চাহিদামতো এলসি করতে না পারায় আমদানি করা যাচ্ছে না। আর আমদানি কম হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ভোগ্য পণ্যের ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছিল ১৪৫ কোটি ৫২ লাখ ডলারের। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ভোগ্য পণ্যের এলসি খোলা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলা কমেছে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ভোগ্য পণ্যের ঋণপত্র বা এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৬৬ কোটি ৯১ লাখ ডলারের। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ভোগ্য পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ কোটি ৩২ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে কম গুরুত্বপূর্ণ ও বিলাসী পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা একটা ভালো পদক্ষেপ ছিল। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। এমনিতেই দেশে এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস চলে এসেছে। আবার যদি ভোগ্য পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারে তাহলে সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। এ জন্য ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ছাড় দিতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ভোগ্য পণ্য আমদানিতে এলসি কমলেও শিল্পের কাঁচামালের এলসি খোলা এবং নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪.৬৬ শতাংশ ও ৮.২৬ শতাংশ। অন্যদিকে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খোলা কমেছে ৪০.৯০ শতাংশ ও এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ২৪.৯৬ শতাংশ।</span></span></span></span></p>