<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রেমের টানে এক চীনা নাগরিক এখন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিয়ারা গ্রামে অবস্থান করছেন। বিয়ে করেছেন এই গ্রামের অন্তরা খাতুন নামের এক মেয়েকে। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। এদিকে বিদেশি জামাইকে দেখতে গ্রামবাসী অন্তরাদের বাড়িতে ভিড় করছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিয়ারা গ্রামে কথা হয় অন্তরা আর চেংনাংয়ের সঙ্গে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময়  অন্তরা জানান, কয়েক বছর আগে মা-বাবার পছন্দের ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই ঘরে তার ৯ বছর বয়সী একটি  কন্যাসন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। পরে তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। চার মাস আগে তিনি সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরের একটি রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে দেখা হয় চীনা নাগরিক চেংনাংয়ের সঙ্গে। এ সময় অন্তরাকে দেখে চেংনাংয়ের ভালো লাগে। দুজন সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে বন্ধু হন এবং মোবাইল ফোন নম্বর বিনিময় করেন। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়তে থাকে। অন্তরা বাংলা লিখে চীনা ভাষায় অনুবাদ করে চেংনাংয়ের কাছে পাঠান। এভাবে কিছুদিন চলার পর চেংনাংয়ের অনুরোধে অন্তরা তার পিতাকে বিষয়টি খুলে বললে তিনি বিয়েতে রাজি হন। দুই পরিবারের সম্মতিতে গত ২২ নভেম্বর গাজীপুর কোর্টে গিয়ে হলফনামার মাধ্যমে চেংনাং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে অন্তরাকে বিয়ে করেন। এরপর গত শনিবার স্বামীকে নিয়ে অন্তরা বাবার বাড়ি কাজিপুরের বিয়ারা গ্রামে আসেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তরা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চেংনাং এখন বাংলা শিখছেন। আর আমিও চীনা ভাষা শেখার চেষ্টা করছি। তবে কথাবার্তা এখনো অনুবাদ করে আদান-প্রদান করি। তাকে আমার আগের বিয়ের কথা জানিয়েছি। আমার মেয়ে আছে এটাও তিনি জানতেন। সব মেনে নিয়েই তিনি বিয়ে করেছেন। আমরা দুজনে এখন সুখেই আছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>