<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পিলখানা ট্র্যাজেডির কারণে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পেতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। পরে তাঁরা চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিসুংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পেশ করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগীরা জানান, একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঢাকার পিলখানায় হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এর দায় চাপানো হয় বিডিআর সদস্যদের ওপর। চাকরিচ্যুত করে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। অনেক সহকর্মী এখনো কারাগারে বন্দি রয়েছে। কেউ কেউ কারাবন্দি অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেছে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি চাকরি হারিয়ে এবং কারাবন্দি থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। তাই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তাঁরা। একই সঙ্গে নিরপরাধ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও কারাবন্দিদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন তাঁরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৯ দফা দাবির কয়েকটি হলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিডিআর বিদ্রোহকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করা। চাকরিচ্যুত সব বিডিআর সদস্যকে সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে বহাল করা। উচ্চ আদালতের বিচারকদের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদঘাটন ও কুশীলবদের শনাক্তকরণের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন। শাহাদাতবরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদি মর্যাদা দেওয়া। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময় সাবেক বিডিআরের হাবিলদার শহীদুর রহমান, হাবিলদার হকিকুল ইসলাম, হাবিলদার আশরাফুল ইসলাম, হাবিলদার মাহাবুব আলম, হাবিলদার রুহুল আমিন, সিপাহি শুকুর আলী। </span></span></span></span></p>