<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ শনাক্তে ব্যবহৃত এনএস-১ আইসিটি পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রে সঠিক ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রতি চারজন রোগীর মধ্যে একজনের ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে না এই পরীক্ষায়। এই পরীক্ষার খরচ তুলনামূলক কম হলেও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফলস নেগেটিভ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হচ্ছে অনেক। অর্থাৎ, কারো ডেঙ্গু আছে অথচ পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো নমুনা পরীক্ষায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফলস নেগেটিভ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শনাক্ত হওয়া। এ ক্ষেত্রে একাধিক পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। গবেষণাটি করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের ভাইরোলজি বিভাগ। গতকাল ইনস্টিটিউটের এক কর্মশালায় এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফা আকরাম গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। গত বছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে গবেষকদল। তিনি জানান, ডেঙ্গু শনাক্তকরণে তিনটি ভিন্ন পরীক্ষা পদ্ধতিতে কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এনএস-১ আইসিটি, আরটিপিসিআর ও এনএস-১ এলিজা। প্রতিটি ক্ষেত্রে ১২৪টি পজিটিভ ও ৭৬টি নেগেটিভ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা গেছে, এনএস-১ আইসিটি পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৯৩টি নমুনা। অর্থাৎ ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এনএস-১ আইসিটি পরীক্ষা ডেঙ্গু শনাক্ত করতে পারছে না। অন্যদিকে আরটিপিসিআর ও এনএস-১ এলিজা পদ্ধতিতে ডেঙ্গু শনাক্তের হার প্রায় শতভাগ। আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী ডা. আমিনুর রহমান বলেন, গবেষণায় একটি বিষয় পরিষ্কার যে এনএস-১ আইসিটিতে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফলস নেগেটিভ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আসছে। বৃহত্তর আকারে গবেষণা করলে সঠিক পদক্ষেপ সম্পর্কে বলা সহজ হবে। </span></span></span></span></span></p>