<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আর এই ক্যাম্প করার খবরে স্বস্তিবোধ করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র ব্রিগেড, র‌্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের একাধিক দল অংশগ্রহণ করে। নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি আনতে যৌথ বাহিনীর এই অভিযান সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়। এই অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৯টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএসপিআর আরো জানায়, সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলানগর এলাকায় ১৫২ জন অপরাধী, ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭১টি গোলাবারুদ, ১৭২ ধরনের বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অস্ত্র, একটি গ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ নেশাজাত দ্রব্য উদ্ধার হয়। সন্ত্রাস দমন এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি ও খুনখারাবি বেড়ে যায়। দিন-দুপুরে ছুরি-চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে লুট করা হয় সব কিছু। স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বের হতেই ভয় পেতেন। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার মধ্যরাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় চালানো হয় যৌথ অভিযান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত শনিবার বিকেলে সন্ত্রাসমুক্ত মোহাম্মদপুরের দাবিতে এলাকাবাসী থানার সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে দায়ী করেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অগ্রগতির জন্য তাঁরা পুলিশকে তিন দিনের সময় বেঁধে দেন। এরপর রাতেই যৌথ বাহিনীর অভিযান চালায়।</span></span></span></span></p>