<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণকে পাঁচ অর্থবছরের (২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭) আয়কর হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৬৬৬ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে যে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট, সেই রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তার আগের দিন ৪ আগস্ট এই রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট রায়টি প্রত্যাহার (রিকল) করেন বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদালতে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে শুনানি করেছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও সরদার জিন্নাত আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তখনকার সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যখন এই মামলায় রুল জারি করা হয়েছিল, তখন বেঞ্চের দ্বিতীয় বিচারপতি আমার প্রতিপক্ষ। অর্থাৎ তিনি সরকারের পক্ষে এই মামলার আইনজীবী ছিলেন। রায় লিখতে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। যে কারণে তিনি বিব্রতবোধ করেন। ফলে নতুন করে শুনানির জন্য মামলাটি তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। অবকাশ ছুটির পর প্রধান বিচারপতি মামলাটির শুনানির জন্য নতুন একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। সে বেঞ্চে নতুন করে শুনানি হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৭ সালের ৭ ও ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার ১৪ নম্বর কর অঞ্চল দুটি আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৬৬৬ কোটি টাকা আয়কর দাবি করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। গ্রামীণ কল্যাণকে দুই সপ্তাহের সময়ও দিয়ে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য রাখে কর অফিস। ওই দিন হাজির হয়ে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষ থেকে এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের কথা উল্লেখ করে সময় চায় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর অফিস গ্রামীণ কল্যাণের আবেদন নাকচ করে ২৬ সেপ্টেম্বর একটি আদেশ দেয়। ওই আদেশের পুনর্বিবেচনা চেয়ে গ্রামীণ কল্যাণ আবেদন করলে ১৪ নভেম্বর ওই আবেদনও খারিজ করে দেয়।</span></span></span></span></p>