<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গুম-নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তৎকালীন ছয়জন র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা। গতকাল রবিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ জমা দেন তিনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালে র‌্যাব কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। র‌্যাবের স্কোয়াড্রন লিডার আলী আশরাফ, আইটি স্পেশালিস্ট রাকীব, অ্যাডিশনাল এসপি মো. আক্তারুজ্জামানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ঈশিত। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগপত্র জমা দিয়ে চিকিৎসক ঈশিতা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালের ২৮ জুলাই র‌্যাব আমার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পাঁচ দিন র‌্যাব হেডকোয়ার্টারে আটকে রাখা হয়। ছয় দিনের মাথায় আমাকে র‌্যাব-৪-এ পাঠানো হয়। র‌্যাব-৪-এ সিনিয়র এসপি আক্তারুজ্জামান আমাকে চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে করে এক জায়গায় নিয়ে যান। পরে আমি জানতে পারি যে জায়গায়টি হচ্ছে মিরপুর-১। সেখানে মাদকসহ আমার ভিডিও করেন তিনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঈশিতা আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাকে আবার র‌্যাব হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের ইউনিফর্ম পরিয়ে ছবি তোলে। ১ আগস্ট বিকেলে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে নিয়ে গিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে। সেখানে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালের ১ আগস্ট মিরপুর থেকে ডা. ঈশিতাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে পরদিন ২ আগস্ট ভুয়া পরিচয় দেওয়া, মাদক ব্যবসা, সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদক ও প্রতারণা আইনে রাজধানীর শাহআলী থানায় তিনটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের ১৪ মাস পর ২০২২ সালের ১ অক্টোবর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ডা. ঈশিতাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর আপিল করা হয় হাইকোর্টে। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে গত ২৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ তাঁকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, কোনো অজানা-অচেনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার চাপে বা প্ররোচনায় ডা. ঈশিতাকে ফাঁসানো হয়েছিল। পাশাপাশি এই নারী চিকিৎসকের সঙ্গে র‌্যাবের এমন আচরণের কারণ জানাতে, কারা এর সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, র‌্যাব সে সময় ডা. ঈশিতার বিরুদ্ধে যেসব মামলা করে, তার মধ্যে দুটি মামলা এখনো চলমান।</span></span></span></span></p>