<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশব্যাপী যখন পুলিশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে জনসাধারণের আস্থা ও ভরসা অর্জনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে তখনো থেমে নেই পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) কান্তি কুমার মোদকের সাজানো মাদক মামলা দেওয়ার হুমকিসহ অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ড। এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় এবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাসোহারা দিতে অস্বীকার করায় মার্কেট মালিকসহ ব্যবসায়ীদের মাদক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছেন ওই এসআই। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং তাঁর শাস্তির দাবিতে গত ২১ আগস্ট ৩৯ জন ব্যবসায়ী পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পাবনা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং থানার ওসি বরাবর সেই অভিযোগপত্রের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কান্তি কুমার মোদক মাসোহারা না পেলেই মাদক মামলাসহ নানা রকম হয়রানি করেন। কোথাও বাল্যবিবাহের খবর পেলে সেখানে গিয়েও মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন। তবে কান্তি কুমার মোদকের এসব অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম ও হয়রানির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে একাধিকবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ডিআইজি, পাবনা পুলিশ সুপার, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে বিচার চেয়ে অভিযোগ করা হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ফলে আরো বেপরোয়া হয়ে গেছেন কান্তি কুমার মোদক।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী থানাধীন বাঁশেরবাদা খয়েরদারী ব্রিজের পাশ থেকে মো. রইজ উদ্দিনের ছেলে অনলাইন জুয়ার প্রধান পরিচালনাকারী মো. আল আমিন (২৮), একই উপজেলার দাশুড়িয়ার বয়রা গ্রামের মজিবার রহমানের ছেলে জীম আলী (১৯), ইসারত আলীর ছেলে লিজন আহম্মেদ (১৮) এবং পাবনার দাপুনিয়া ঘোষপাড়া মির্জাপুরের জালাল উদ্দিন আকন্দের ছেলে সাকিব হোসেনকে (২২) দুই কেজি গাঁজাসহ আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান কান্তি কুমার মোদক। জুয়া পরিচালনাকারী আল আমিনের মোবাইলে বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা ৮৫০ ইউএস ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ আট হাজার ৮০০ টাকা) বের করে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে মাদক মামলা না দিয়ে ১৫১ ধারায় কোর্টে চালান দেওয়া হয়। আর গাঁজা অন্যত্র বিক্রি করে মোট দুই লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ টাকা গ্রহণ করেন এসআই কান্তি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কান্তি কুমার মোদক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বদলি হয়ে যাচ্ছি, যা ইচ্ছা তাই লেখেন। অসুবিধা নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব বিষয়ে জানতে দুই দিন ধরে পাবনা পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খানের ব্যবহৃত সরকারি নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা পাবনা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছে। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেই নির্দেশ অনুসারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>