<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিধিবহির্ভূতভাবে আইনজীবী পেশা সাময়িক স্থগিত ও জরিমানা করার অভিযোগ তুলে সাবেক তিন প্রধান বিচারপতিসহ সাত বিচারপতির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূছ আলী আকন্দ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় উল্লিখিত আবেদন করেন ইউনূছ আলী আকন্দ। আবেদনের লক্ষ্যবস্তু তিন প্রধান বিচারপতি হলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও ওবায়দুল হাসান। আর আপিল বিভাগের সাবেক চার বিচারপতি হলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মো. ইমান আলী, মির্জা হোসেন হায়দার, আবু বকর সিদ্দিকী ও মো. নুরুজ্জামান ননী।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবেদনে ইউনূছ আলী আকন্দ অভিযোগ করেছেন, সাবেক তিন প্রধান বিচারপতিসহ সাত বিচারপতি ক্ষমতার অপব্যহার করে তাঁকে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে শুনানির সুযোগ না দিয়ে আদালত অবমাননার নামে শাস্তি দিয়েছেন। এটি অসাংবিধানিক এবং আদালত অবমাননা আইন, ১৯২৬-এর লঙ্ঘন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলায় এ রকম দুটি শাস্তি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একটিতে ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালত ইউনূছ আলী আকন্দের আইন পেশার অনুশীলন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। দ্বিতীয় ঘটনায় ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে শুনানির সুযোগ না দিয়ে ইউনূছ আলী আকন্দের সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশার অনুশীলন স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবেদনে বলা হয়েছে, আদালত অবমাননা হলে আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬-এর ৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে হাইকোর্ট শাস্তি দিতে পারেন, আপিল বিভাগ নয়। বার কাউন্সিল আইনের ৩২ ধারায় ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীর পেশাগত অসদাচরণ প্রমাণিত হলে পেশা স্থগিত করতে পারেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক নয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি মামলা করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরাসরি মামলা করা যায় হাইকোর্ট বিভাগে। ১০৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগে আপিল করা যায়।</span></span></span></span></p> <p> </p>