<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ (পরে নাম হয় ইসলামী ছাত্রশিবির) পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধংসযজ্ঞে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে। তাদের গঠিত আলবদর বাহিনী দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল। সাধারণত এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত থাকে তারা স্বাধীন দেশে দল গঠনের অধিকার রাখে না। ১৯৭২-এর প্রথম সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিধান রেখেছিলেন। এর সুবাদে নিষিদ্ধ হয় জামায়াতসহ সমমনাদের রাজনীতি। তবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসন জারি হওয়ার ধারাবাহিকতায় তথাকথিত সমন্বয়ের নামে ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। লক্ষণীয় যে, তারা তখন থেকে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করে গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জামায়াতে ইসলামী এবং দলটির সহযোগী সংগঠন ও নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছিল। দেশের অনেক রাজনৈতিক দল ও সুধীসমাজ দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করে আসছিল। বিলম্বে হলেও সরকারের জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কিন্তু মনে রাখতে হবে, দল নিষিদ্ধ হলেও গত কয়েক দশকে সমাজ ও সরকারের সব স্তরে জামায়াতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই অনুপ্রবেশ ও তাদের রাজনীতির যে আদর্শিক ভিত্তি, সে বিষয়ে নাগরিক সমাজ ও রাষ্ট্র সচেতন না হলে কেবল দল নিষিদ্ধ করে কর্তব্য শেষ হবে না। এ ছাড়া আমি আশা করি, এই নিষিদ্ধকরণ যেন আইনিভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেতন রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অনুলিখন : খায়রুল কবির চৌধুরী</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>