<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনসংহতি সমিতির জাতীয় সম্মেলনে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমাকে সভাপতি এবং প্রণতি বিকাশ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে সেই পুরনো নেতৃত্বেই আস্থা রাখলেন। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তম আন্দোলনে সামিল হউন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত ২৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১১তম জাতীয় সম্মেলনে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট ১২তম কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে। কমিটিতে সহসভাপতি পদে ঊষাতন তালুকদার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শক্তিপদ ত্রিপুরা নির্বাচিত হয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনসংহতি সমিতির প্রচার বিভাগের সজীব চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ররিবার রাতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা, থানা ও ইউনিয়ন শাখাসমূহ এবং এর সহযোগী সংগঠন-পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম ও গিরিসুর শিল্পী গোষ্ঠীর সাড়ে চার শতাধিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক যোগদান করেন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সম্মেলনে প্রতিনিধিগণ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকারী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনরায় আসীন হওয়ার পরও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় এবং এতে করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হওয়ায় চরম ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সম্মেলনে প্রতিনিধিদের আলোচনা-পর্যালোচনার পর বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিম্নোক্ত ১৮ দফা প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করা, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় পুলিশবাহিনী গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ বিভিন্ন দাবি।</span></span></span></span></p>