<p>মানুষের দৃষ্টি বা দর্শন অনুভূতির স্থায়িত্বকাল মাত্র ০.১ সেকেন্ডের মতো। এর কারণটি মূলত আমাদের মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। সহজ ভাষায়, আমাদের চোখ এবং মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করে তারওপর।</p> <p><strong>দৃষ্টি প্রক্রিয়া </strong><br /> দৃষ্টি প্রক্রিয়া মূলত একটি দ্রুত এবং জটিল প্রক্রিয়া। আমাদের চোখ আলোর রশ্মিকে গ্রহণ করে এবং রেটিনা নামে চোখের পিছনের অংশে অবস্থিত কোষগুলির সাহায্যে সেই আলোকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে। এরপর এই সংকেতগুলো অপটিক নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ভিজ্যুয়াল কর্টেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে মস্তিষ্ক সেই সংকেতগুলোকে একটি দৃশ্য হিসেবে রূপান্তর করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বই পড়লে কি বুদ্ধি বাড়ে, বিজ্ঞান কী বলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/10/1728559338-fa2d68a654296f5680e8c4d469b866db.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বই পড়লে কি বুদ্ধি বাড়ে, বিজ্ঞান কী বলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/10/1433807" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>অনুভূতির সময়সীমা</strong><br /> প্রতিটি চিত্র বা দৃশ্য আমাদের চোখের মাধ্যমে একটি সংকেত হিসেবে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে মাত্র ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে। এই সময়সীমাটি মস্তিষ্কের প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতার সাথে সমন্বিত। মস্তিষ্ক একটানা অনেক দৃশ্য বা চিত্রকে দ্রুতগতিতে গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। প্রতি ০.১ সেকেন্ডের মধ্যে মস্তিষ্ক নতুন একটি ছবি বা সংকেত গ্রহণ করতে প্রস্তুত হয়।  এই সময়ে পুরনো দৃশ্যের তথ্য মুছে গিয়ে সেখানে নতুন দৃশ্যে চেলে আসে।</p> <p><strong>ফ্লিকার ফিউশন ফ্রিকোয়েন্সি</strong><br /> স্থায়িত্বকাল মাত্র ০.১, এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ‘ফ্লিকার ফিউশন ফ্রিকোয়েন্সি’ নামে একটি ঘটনা। এটা সেই হার বা গতি, যেখানে আমাদের মস্তিষ্ক দ্রুতগতির ছবি বা আলোর ফ্ল্যাশকে আলাদা আলাদা ঘটনা হিসেবে না দেখে একটানা বা ধারাবাহিক মনে করে। মস্তিষ্ক প্রতি ০.১ সেকেন্ডে নতুন চিত্র প্রক্রিয়া করতে পারে এবং এর বেশি গতির কিছু ঘটনা একসঙ্গে মিলিয়ে দেখে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক নোবেলজয়ী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728471298-ba958c51bc733dd47dbfd9989347ace4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক নোবেলজয়ী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/09/1433457" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>দৃশ্যের স্রোত ধরা রাখা</strong><br /> এই ০.১ সেকেন্ড সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আমাদের মস্তিষ্ককে দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে সহায়তা করে। যদি কোনো দৃশ্য বা চিত্র একটানা দীর্ঘ সময় ধরে মস্তিষ্কে থাকত, তাহলে আমরা বাস্তব জগতের প্রতিক্রিয়াগুলি যথাসময়ে বুঝতে পারতাম না। সুতরাং, মস্তিষ্ক দ্রুত দৃশ্যগুলোকে প্রসেস করে, যাতে পরিবেশের পরিবর্তনগুলোও দ্রুত ধরা পড়ে।</p> <p><strong>ইভোলিউশন এবং সুরক্ষা</strong><br /> বিবর্তন অনুযায়ী, এই দ্রুত প্রক্রিয়া আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সহায়ক হয়েছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল দৃশ্য বা পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানাতে এই ০.১ সেকেন্ডের সময়সীমা জরুরি। শিকারি প্রাণীর উপস্থিতি কিংবা বিপদজনক পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য মস্তিষ্ককে দৃশ্য প্রক্রিয়ার সময় কম রাখতে হয়েছে।</p> <p>সূত্র: </p>