<p>‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’ খ্যাত গানের শিল্পী বারী সিদ্দিকীকে হারানোর সাত বছর আজ। ২০১৭ সালের আজকের দিনে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন না-ফেরার দেশে। ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামে জন্মেছিলেন বারী। ক্যারিয়ারের শুরুতে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিতি পেলেও পরে গেয়েই শ্রোতার মন জয় করেছিলেন।</p> <p>আজ (২৪ নভেম্বর) তার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। বাঁশির জাদুকর, দারাজ কণ্ঠের গায়ক, লোকজ ও আধ্যাত্মিক গানে মাতিয়েছেন শ্রোতাদের।</p> <p>শৈশবে বড় ভাইয়ের কাছে বাঁশির তালিম নিতে নিতে সুরের সঙ্গে তৈরি হয় প্রেম। মাত্র ১২ বছর বয়সে ওস্তাদ গোপাল দত্তের কাছে সংগীতের তালিম শুরু হয় তার। পরে ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি। ভারতেও গানের তালিম নিয়েছেন তিনি। পরে বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসংগীতে প্রশিক্ষণ নেন।</p> <p>লোকসংগীতের এ শিল্পী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক করেন। হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরেই দেশব্যাপী পরিচিতি হয় তার। বাঁশি আর কণ্ঠ দিয়ে সব সময়ই দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। নাটক ও চলচ্চিত্রে গাওয়ার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। তার কণ্ঠে জনপ্রিয় হয়েছে ‘সুয়া চানপাখি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’, ‘আমার মন্দ স্বভাব’সহ বেশ কিছু গান।</p> <p> </p>