<article> <p>কুখ্যাত গ্যাংস্টারদের হটলিস্টে আছেন বলিউডের ভাইজান সালমান খান। একাধিকবার হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে অভিনেতাকে। সম্প্রতি গুলি চালানো হয়েছে তার বাসভবনেও। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সালমানভক্তরা। সালমানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুম্বাইয়ের প্রশাসনও। কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে অভিনেতাকে। এখন পর্যন্ত সালমানকে হত্যার হুমকি প্রকাশ্যেই দিয়ে আসছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংস্টার বাহিনী। সালমান খানের বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রশাসনের তীর বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ওপরেই। এরই মধ্যে বিষ্ণোই সোসাইটি সালমানকে নিয়ে নতুন এক মন্তব্য করে উঠে এসেছে আলোচনায়। তাদের ভাষ্য মতে, ক্ষমা চাইলে বাঁচতে পারেন সালমান খান!</p> </article> <p>সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলির ঘটনার পর থেকে একের পর এক গ্রেপ্তার চলছে। পলাতক বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অনেক গ্যাংস্টার। এবার বিষ্ণোই সোসাইটির পক্ষ থেকে সালমান খানকে দেওয়া হয়েছে নতুন পরামর্শ। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সোসাইটির প্রেসিডেন্ট দেবেন্দ্র বুদিয়া জানিয়েছেন, সালমান যদি ক্ষমা চান তাহলে তাঁরা সে বিষয় নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে পারেন।</p> <p>‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সালমানের বিরুদ্ধে। আর এই কৃষ্ণসার হরিণ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে দেবতুল্য। তাই এই অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের রোষানলে পড়েন সালমান। একাধিকবার তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সালমানের বাড়ির আশপাশে নজর রাখাসহ সম্প্রতি তার বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।</p> <p>সালমানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজনের আবার হাজতেই মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই দেবেন্দ্র বুদিয়া বলেন, ‘বিষ্ণোই সমাজের কাছে ওকে (সালমান খান) ক্ষমার আর্জি জানাতে হবে। মন্দিরে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে আর কোনো দিন এই ধরনের কোনো ভুল করবে না বলে শপথও নিতে হবে, আর বন্য প্রাণী রক্ষার কাজে ব্রতী হতে হবে। যদি তা করে, তাহলে বিষ্ণোই সমাজ ওকে ক্ষমা করার কথা ভাববে।’</p> <p>ভারতীয় প্রতিবেদন অনুসারে পহেলা বৈশাখের দিন সালমান খানের বাড়িতে হামলার মাস্টারমাইন্ড লরেন্সের ভাই অনমোল বিষ্ণোই। ১৪ এপ্রিলের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টে এই নামের প্রোফাইল থেকেই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছিল। শোনা যায়, হামলার আগে ১২ এপ্রিল সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশে নজরদারি করে ভিডিও তোলা হয়েছিল। সেই ভিডিও আনমোলকে পাঠানো হয়। ভিডিও দেখে দুই শ্যুটারকে হামলার নির্দেশ দেয় আনমোল। কিভাবে কী করতে হবে, তা-ও জানায়। আর এর জন্য তিন লাখ টাকা পেয়েছিল সেই শ্যুটাররা।</p>