<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত এবং হুকুমদাতার অভিযোগে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাসেল ইসলাম নুরের পদত্যাগ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে  প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।</p> <p>রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত সাভার উপজেলা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় তাকে গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম দেন তারা। দাবি মানা না হলে উপজেলার প্রতিটি দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। </p> <p>রাসেলের পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে শিক্ষার্থী রাফসান বলেন, রাসেল আওয়ামী লীগের সময় থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা দেখেছি, ‘তিনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে উপস্থিত থেকে হত্যাযজ্ঞের সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন।' </p> <p>অপর শিক্ষার্থী সৌরভ বলেন, ‘আমরা জানি, ফ্যাসিস্টের আমলে কোনো কর্মকর্তা অপরাধ করলে তাকে বদলি করা হতো। বদলি করাটা তো কোনো শাস্তি না। আমরা চাই, এখানে ১ ঘণ্টার মধ্যে রাসেল উপস্থিত হয়ে পদত্যাগ করবেন এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে।'</p> <p>সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক এ সময় কয়েক দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিতে চাইলেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অস্বীকৃতি জানান। সবশেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে সাভার উপজেলা পরিষদ ভবনের গেটে এবং এসি ল্যান্ড অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে দেন তারা। </p> <p>আন্দোনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্র-জনতার হত্যাকারী রাসেলকে গ্রেপ্তার করা না হলে সব শিক্ষার্থীকে নিয়ে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। </p>