<p style="text-align:justify">পশুর নদী হয়ে সুন্দরবনের ধানসিদ্ধির চর সংলগ্ন এলাকায় কেবল পৌঁছেছেন। তাদের উদ্দেশ্য বনের হরিণ শিকার করা। সেজন্য ট্রলার ভর্তি হরিণ শিকারের ফাঁদও নেওয়া হয়। কিন্তু বিধিবাম। বনরক্ষীদের হাতে আটক হওয়ায় হরিণ শিকার করা হয়নি ২০ শিকারের। </p> <p style="text-align:justify">তাদেরকে শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাদেরকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় সুন্দরবনের ধানসিদ্ধির চর সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জেরসহ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আল আমিন তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, সঙ্গীয় ফোর্সসহ শুক্রবার রাতে ট্রলার যোগে পশুর নদীতে টহলকালে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার দেখতে পাই। ট্রলারটি নন্দবালা টহল ফাঁড়ির অফিস অতিক্রম করে নিচের দিকে যাওয়ার সময় আমরা তাদেরকে থামার জন্য লাইট দিয়ে সংকেত দিলে তারা ট্রলার না থামিয়ে দ্রুত গতিতে বনের গহীনের দিকে ছুটে যায়। </p> <p style="text-align:justify">একপর্যায়ে তাদের ধাওয়া করে ধানসিদ্ধির চর সংলগ্ন মাঝ নদী থেকে ট্রলারসহ ২০ শিকারিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় তাদের ট্রলার তল্লাশি করে হরিণ শিকারের বেশ কিছু ফাঁদ জব্দ করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">তিনি জানান, পরে শিকারিদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সরকারি সংরক্ষিত সুন্দরবনে হরিণ ধরার ফাঁদের রশি নিয়ে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার অপরাধে বন আইন ১৯২৭ সনের (যাহা ২০০০ সনে অধিকতর সংশোধিত) ৭২৬(১)(খ) ও ২৬ (১০) (চ) ধারা ও বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩২ (১) (গ) ও ৩৪ (খ) ধারায় চাঁদপাই রেঞ্জে মামলা দায়ের শেষে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে জানায় বন বিভাগ।</p>