<p>নেত্রকোণার বারহাট্টায় চারটি ইউনিয়ন পরিষেদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রত্যাহার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।</p> <p>গত সোমবার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত উপজেলার সাতটি ইউপির চারটির কার্যালয়ে সাহতা, রায়পুর, সিংধা ও চিরামে তালা দেওয়া হয়। </p> <p>উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ হলো এলাকার উন্নয়নের পাদপিট। এখানে চেয়ারম্যান পদে ভালো লোক থাকা দরকার। গত সরকারের আমলে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। ভালো লোক আসতে পারেনি। ছাত্র-জনতার দাবি, ওইসব চেয়ারম্যনদের অপসারন করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়া হোক। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে ভালো লোক আসবে এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ হবে। পর্যায়ক্রমে সব ইউপি কার্যালয়ে তালা লাগানো হবে।</p> <p>সাহতা ইউনিয়নের বাসিন্দা রতন, কামালসহ অনেকে জানান, এই ইউনিয়নে মিজানুর রহমান চঞ্চল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই অন্যায়-অনিয়মের মাধ্যমে নিজের আখের ঘোছাতে শুরু করেন। তার জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে থাকার অধিকার নেই। এই জন্যই ছাত্র-জনতা সাহতা ইউপি কার্যালয়ে তালা দিয়েছে।</p> <p>এদিকে রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজুর কার্যালয়ে তালা লাগানোর বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে চেয়ারম্যান হয়েছি। আমি কোনো অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই। </p> <p>বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, আমি কয়েকটি ইউপি কার্যালয়ে তালা লাগানোর বিষয়ে শুনেছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আমাকে জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালন বিষয়ক সরকারের নতুন কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। নির্দেশনা পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।<br />  </p>