<p>ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবি ও ডুম্বুর গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে প্লাবিত করার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সমাবেশ করেন তারা।</p> <p>সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর-এ তামিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী। এ সময় তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের সংকেত ছাড়াই ডুম্বুর গেট খুলে দিয়ে আমাদের ফেনী, কুমিল্লাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর মানুষের ওপর জুলুম করা হচ্ছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যেসব চুক্তি করেছে, তার সবই অসম চুক্তি।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘তিস্তার পানি বন্টন কিংবা টিপাইবাঁধের কথা কিন্তু আমরা ভুলিনি। আমাদের তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা, ভাগ এখনো বুঝে পাইনি। সুন্দরবনকে ধংস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে করে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ, ভারতীয় আগ্রাসন সেটি আমরা ভুলে যাইনি। ভারতীয় সরকার যদি ভেবে থাকে এভাবে জুলুম করবে, তাদের দেশে সংখ্যালঘুদের অত্যাচার করবে আর বাংলাদেশের ছাত্র এবং জনগণ মূখ বুঝে সহ্য করবে তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’</p> <p>এ সময় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যতগুলো সরকার এসেছে সবার মধ্যে ভারতের গোলামি করার প্রবণতা দেখতে পেয়েছি এবং সর্বশেষ এর পরিনতি হিসেবে দেখতে পাই স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পরে তাকে দিল্লিতে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করে নরেন্দ্র মোদির ফ্যাসিস্ট সরকার। আমরা বলতে চাই, রতনে রতন চিনে, স্বৈরাচার চিনে স্বৈরাচার আর মোদি চিনে হাসিনা। এটাই হচ্ছে আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতা, যে বাস্তবতার কারণে বিভিন্ন অসম চুক্তি, খরার ও বন্যার শিকার হচ্ছি। আমাদের বাড়ি-ঘর ও ফসিল জমি ভেসে যাচ্ছে।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আজকের নতুন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, যে গোলামি আমাদের পূর্ববর্তী সরকার করে আসছে, আমরা সেই গোলামিকে প্রত্যাখান করছি। আমাদের ভারতের সঙ্গে যদি কোনো সম্পর্ক থাকে সেটা হবে বন্ধুত্বের এবং সমতার কিন্তু কোনো অসম সম্পর্ক মেনে নেব না।’ </p>