<p>দেশব্যাপী ‘শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জাগরণ যাত্রা’র কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে সভা-সমাবেশ, পদযাত্রা ও গণসংযোগ করা হবে।</p> <p>মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির চার দিনব্যাপী সভা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে ওই সভায় সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেব। সভায় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যবৃন্দ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য-সংগঠকবৃন্দ ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্যরা বক্তৃতা করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জসিম উদ্দীনকে খুঁজছে পরিবার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729608579-7a7a8f238afd2b96fcdc4560f8447add.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জসিম উদ্দীনকে খুঁজছে পরিবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/10/22/1438002" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সভায় গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানে গণমানুষের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিলোপ এবং অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ শোষণ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। </p> <p>এ সময় গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন ও জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার-প্রক্রিয়াকে অগ্রসর করার আহবান জানিয়ে বলা হয়, সরকারের কারো কারো বক্তব্যে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি করেছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থেকে সরকারের মূল কার্যক্রম অগ্রসর করতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক তৈমূরের!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729608136-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক তৈমূরের!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/22/1438000" target="_blank"> </a></div> </div> <p>দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জনজীবনে পুরোপুরি শৃঙ্খলা ফিরে না আসা, সংস্কার কার্যক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দৃশ্যমান আলোচনা না হওয়ায় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ও বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানানো হয়।</p> <p>সভায় মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা, পাল্টা দখলদারিত্ব, কোনো কোনো ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। </p> <p>সভায় আগামী ২০২৫ সালের মে মাসে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবে সিপিবির মতামত তুলে ধরার জন্য পার্টির নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।<br />  <br /> <strong>প্রেসিডিয়াম ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি</strong></p> <p>পার্টির কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সিপিবির প্রেসিডিয়ামে কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, রফিকুজ্জামান লায়েক, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন ও আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। কাজী রুহুল আমিন, এস এ রশীদ, রাগীব আহসান মুন্না, অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, লুনা নূর ও আবিদ হোসেনকে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন ও জাহিদ হোসেন খানকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং অ্যাডভোকেট আবু হাসিবকে কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক নির্বাচিত করা হয়েছে।</p>