<p style="text-align:justify">পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক অস্থিরতার ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ঘটনাকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত আছে। একদিকে শূন্যতার সুযোগ নেওয়া, অন্যদিকে জিও পলিটিকসে যে পরিবর্তন ঘটছে মায়ানমারকে কেন্দ্র করে, ভারতের মণিপুরের যে বিদ্রোহ; এই ঘটনাগুলো ভেরি সিগনিফিকেন্ট বলে মনে করি। তবে এখন কমেন্ট করা ঠিক হবে না।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘সম্প্রীতি নষ্ট করতে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/21/1726913379-0379969803dcb452cd1521d8566e6573.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘সম্প্রীতি নষ্ট করতে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/09/21/1427509" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">পাবর্ত্য চট্টগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘যেমন গতকাল মেইন ঘটনাটা ঘটছে। আমাদের দলের দীপেন দেওয়ান আমাকে ফোন করে বললেন, স্যার ইমিডিয়েটলি কারফিউ দিতে বলেন, কারফিউ ছাড়া একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তখন আমি জানার পরে যাদের চিনি তাদের জানানোর পরে কারফিউ হয়নি। ১৪৪ ধারা দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিক এফেক্টিভ কন্ট্রোল তারা করতে পারেনি। এর মধ্যে এটা (ঘটনা) বিস্তার লাভ করেছে। এই যে একটা দেরি হচ্ছে এটা কিন্তু ক্ষতির ব্যাপার হচ্ছে।’</p> <p style="text-align:justify">এই অবস্থায় বিএনপির পরামর্শ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, রেগুলার পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে বিশেষত মেইন পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে তো আমাদের চুক্তি আছে, এত দিন কোনো সমস্যা হয়নি। এখানে শুধু পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সমস্যা তা নয়, সামাজিক সমস্যা আছে। এই সমস্যাগুলো দীর্ঘকাল ধরে চলছে। আমরা সমাধান করিনি। আওয়ামী লীগ সরকার এত কথা বলেছে, চুক্তি করেছে কিন্তু সমস্যার সমাধান করেনি। এটা তো এক দিনে হবে না, ওদের সঙ্গে বসতে হবে, কথা বলতে হবে, বিষয়গুলোকে আলাপ-আলোচনা করে একটা জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।’</p>