<p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবুল হাসনাত কীর্তিত হয়েছেন সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে অনন্য অবদানের জন্য। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পত্রিকার সাহিত্য পাতা সম্পাদনা করেছেন দীর্ঘকাল। প্রতি বৃহস্পতিবার দৈনিকের সঙ্গে চার পৃষ্ঠার বিশেষ সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ শুরু হয় তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সেখানে বিষয়ের বৈচিত্র্য, লেখার অভিনবত্ব, খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের কলাম, নবীন কিংবা উদীয়মান লিখিয়েদের নিয়মিত লেখা, সাহিত্য ও শিল্পের নানা বিষয়ের আলোচনা, ধারাবাহিক উপন্যাস এবং আরো নানা বৈচিত্র্যের সমাবেশই তিনি কেবল ঘটাননি, অনেককেই তাঁদের বৃত্তের বাইরে এসে ভিন্নধর্মী লেখার জন্য উৎসাহিত করেছেন, সমাজ ও অর্থনীতি নিয়ে লিখতে সম্ভাবনাময় তরুণদের প্রণোদনা জুগিয়েছেন। দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতা বলতে যে এক পৃষ্ঠার গতানুগতিক ধারা ছিল, ক্ষেত্রবিশেষে যা ছিল দুই পৃষ্ঠার আয়োজন, সেখানে সম্পাদক আহমেদুল কবিরের প্রশ্রয়ে চার পৃষ্ঠার সবিস্তার প্রকাশনার কাজ হাতে নিয়ে বছরের পর বছর নিষ্ঠার সঙ্গে যে দায়িত্ব পালন করেছেন আবুল হাসনাত তা সমাজের সাহিত্যরুচি নির্মাণ ও সাহিত্য-শিল্পবোধ প্রসারে বিশেষ অবদান রেখেছে। জনপ্রিয় হওয়ার অভিপ্রায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর কোনোকালে ছিল না, ভিন্নতর চিন্তার বাহক হওয়ার তাগিদ পত্রিকার ছিল, যা অনেকের সম্মিলিত ভূমিকা পালনে অর্জন করেছিল সমৃদ্ধি। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর সাহিত্য পাতা এই ঘরানায় ঋদ্ধ ছিল, তাকে বিশাল ও গভীরতর মাত্রা জুগিয়েছিলেন আবুল হাসনাত। কোনো পত্রিকার সাহিত্য পাতা যে আলাদাভাবে পাঠককে আকর্ষণ করতে পারে, সপ্তাহান্তে পত্রিকা হাতে পেলে প্রথমে সাহিত্য পাতায় চোখ বুলিয়ে নেওয়ার তাগিদ জন্ম দিতে পারে, সেটা আবুল হাসনাত করে দেখিয়েছিলেন। এই বিবেচনায় তিনি ছিলেন ট্রেন্ডসেটার, নতুন ধারার উদগাতা, যে পথ বেয়ে পরে আরো অনেক অনুগামীর দেখা আমরা পাই। তবে পথিকৃৎ তো একজনই থেকে যান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবুল হাসনাতের এই কৃতিত্ব পরে উপচে পড়েছিল সাহিত্য মাসিক </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালি ও কলম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সম্পাদনায়। ২০০৪ থেকে শুরু করে ২০২০ সালে প্রয়াণের পূর্ব পর্যন্ত তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে এই সাহিত্য মাসিক সম্পাদনার কাজ করে গেছেন। এখানে তাঁকে পৃষ্ঠপোষকতা জুগিয়েছেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পরিচালক আবুল খায়ের। সংবাদ সাহিত্য সাময়িকী ও মাসিক সাহিত্যপত্র </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালি ও কলম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ছাড়াও তাঁর সম্পাদনায় কিংবা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে যৌথ ভূমিকায় প্রকাশিত আরো কতক মাসিক-ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্রের উল্লেখ করা যায়। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে স্মরণ করতে হয় সদ্যঃস্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর সম্পাদনায় মাসিক </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণসাহিত্য</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র প্রকাশনা। এখানেও নবীন-প্রবীণ অনেক লেখককে একত্র করায় বিশেষ কুশলতা প্রকাশ করেছেন। বলা যেতে পারে, যৌবনের সূচনায়ই তিনি সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন এবং প্রায় পাঁচ দশক জুড়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের পাঠকদের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি করে সাহিত্য ও শিল্পরুচি নির্মাণে অবদান রেখে গেছেন। তাঁর প্রধান কর্মক্ষেত্র </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর সাহিত্য পাতা তাঁকে বিপুল আনন্দ জুগিয়েছিল, কেননা এর মাধ্যমে লেখক ও পাঠকের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগে পেয়েছেন অশেষ তৃপ্তি, এই কাজকে নানাভাবে সমৃদ্ধি জোগাতে সব সময় থেকেছেন সচেষ্ট। কনটেন্টের পাশাপাশি ফর্ম বা পৃষ্ঠাসজ্জার দিকে ছিল বিশেষ নজর। অনেক শিল্পীকেও যুক্ত করেছিলেন সাহিত্য পাতার সচিত্রকরণ ও সজ্জার কাজে, যা একটি পৃথক ঘরানার জন্ম দিয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে আবুল হাসনাত কাজ করেছেন নিভৃতে, নেপথ্যে। নিজেকে জাহির করার এই যুগে তিনি ছিলেন একান্তভাবেই আলাদা। নিজের সাহিত্য সৃজন কখনো তাঁর করায়ত্ত প্রকাশনার ঝুড়িতে চাপিয়ে দেননি। কবিতায় তিনি যেমন মিতবাক, স্বল্পপ্রজ; তেমনি অভিজ্ঞতার বিপুল ভাণ্ডার ও প্রকাশনার নানা সুযোগ ব্যবহারে নিজে বিশেষ সক্রিয় হননি। ফলে তিনি যতটা দৃশ্যমান হয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি রয়ে গেছেন অন্তরালে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেকের কাছেই অচেনা এক আবুল হাসনাত হলেন বাঙালির সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক-শৈল্পিক মুক্তিসংগ্রামের বিশিষ্ট সেনানী হিসেবে তাঁর অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন, যিনি বিগত শতকের ষাটের দশক থেকে জাতীয় মুক্তি ও মানবমুক্তি সংগ্রামের দীক্ষাপ্রাপ্ত কর্মী ও সেবক হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। এই মুক্তিচেতনা ছিল বামপন্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তবে আশ্চর্যভাবে স্বচ্ছ ও উদার এক মতাদর্শ, যা সব রকম কূপমণ্ডূকতা থেকে মুক্ত। তিনি গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন কলেজজীবন থেকে, বন্ধু মতিউর রহমানের সঙ্গে একত্রে। সেই সূত্রে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর সঙ্গে তাঁর যুক্ততা, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পড়াশোনার ব্যয় নির্বাহের জন্য সাব-এডিটর ও সংবাদদাতার কাজ করেছেন এই দৈনিকে। খেলাধুলার বৃত্তেও ছিল তাঁর বিচরণ, ঢাকার ক্লাবমহলের সঙ্গে সম্পৃক্তি, কখনো খেলেছেন ব্যাট হাতে ক্রিকেট, কিছুদিন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর ক্রীড়া সংবাদদাতার দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে সব ছাপিয়ে ছিল তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা, যে ভূমিকাও মূলত ছিল নেপথ্যে, সভা-সমিতিতে বক্তৃতাদানে অনাগ্রহী, রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিপুলভাবে উৎসাহী ও সক্রিয়। বামপন্থী রাজনৈতিক বৃত্তে যে সংকীর্ণ গণ্ডিবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি, এর বাইরে ছিল তাঁর বিচরণ। নিরত পঠন-পাঠন ও শিল্প-সাহিত্যে অবগাহন এবং বাঙালি সংস্কৃতিতে স্নাত হওয়ার আন্তর্তাগিদই বুঝি তাঁকে এই বোধে উজ্জীবিত করেছিল। অলক্ষ্যে কাজ করেছিল তাঁর রোমান্টিসিজম, প্রায় ভাবালুতাই বলা যায়, যে রোমান্টিসিজম তাঁকে শিল্প-সাহিত্যের নানা পরিসরে টেনে নিয়ে গেছে এবং সক্রিয় করে তুলেছে ঢাকার সাহিত্য-শিল্পের বৃত্তে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কৃতি সংসদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হয়ে উঠেছিল তাঁর প্রাণের পরিসর, ছায়ানটের কর্মী হিসেবে ওয়াহিদুল হক-সনজীদা খাতুনের সাহচর্য আরেক প্রেরণা। ছাত্র ইউনিয়ন ও সংস্কৃতি সংসদের একুশে সংকলন প্রকাশের নিরলস কর্মী ছিলেন তিনি, কখনো বা সম্পাদক। সংকলনে প্রকাশের জন্য লিখেছেন কবিতা, বিপ্লবাত্মক নয়, তবে সাম্যের স্বপ্ন-ভাবনায় আলোড়িত, কিছুটা বা রোমান্টিক। বড় বড় সাংস্কৃতিক আয়োজনেও তিনি যুক্ত, অগ্রভূমিকাই নিলেন ১৯৬৭ সালে রুশ বিপ্লবের পঞ্চাশৎ বার্ষিকী পালনে পল্টন ময়দানের সাংস্কৃতিক আয়োজনে, নেপথ্যের জোগাড়যন্ত্রের বিশাল দায়িত্ব পালন, মঞ্চে কোনো উপস্থিতি ছাড়াই। মনে পড়ে এই সময়ের একুশে সংকলনে লিখেছিলেন গল্প, ফাল্গুনে আমের বোলে হাওয়ার দোলা ও মিছিলের মুখ মিলিয়ে। রুশ বিপ্লব বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত সংকলনে লিখলেন কবিতা, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রেমলিন চূড়ার এ-পারাবাত আমার, এ-পারাবাত তোমার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ঢাকায় তামাক ব্যবসায় যুক্ত পাঠান গোপন কমিউনিস্ট বিপ্লবী আলী হায়দার খানের সহযোগে অনুবাদ করলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পশতু গণমুখী কবিতা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এভাবে জাতীয় জাগরণের ঢেউয়ের সওয়ারি হয়ে দেশ পৌঁছে যায় মুক্তিযুদ্ধে, আবুল হাসনাত তখন কলকাতায়, নাসিরউদ্দিন রোডে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অফিস সামাল দিচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার কাজে নিবেদিত এবং সাহচর্য পাচ্ছেন তাঁর যৌবনের স্বপ্নের লেখক-শিল্পীদের</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিষ্ণু দে, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং ইলা মিত্র-রমেন মিত্রের। বিপুল অভিজ্ঞতায় স্নাত আবুল হাসনাত স্বাধীনতার পর সংবাদে সার্বক্ষণিকভাবে সাংবাদিকতায় যুক্ত হলেন। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আরো ব্যাপক করে তোলার সাধনায় বহুমুখী কাজে তিনি ব্রতী। ১৯৭৪ সালে ৯ মাসের জন্য অবস্থান করেন মস্কোতে, পার্টি স্কুলে। যতটা না রাজনীতির পাঠ নেন, তার চেয়ে বেশি পরিচিত হন মস্কো-লেনিনগ্রাদের আর্ট গ্যালারির সম্ভারের সঙ্গে বিশেষত ইমপ্রেশনিস্ট শিল্পীদের কাজের পরিচয় গ্রহণে, বলশয় ব্যালে, তাগানকা থিয়েটার ও নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের সঙ্গে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুরান ঢাকার সমৃদ্ধ সমন্বয়বাদী সংস্কৃতির মধ্য থেকে বেড়ে উঠেছিলেন আবুল হাসনাত। মার্ক্সবাদী শিল্পদীক্ষা নিয়ে অবগাহন করেছেন বাঙালি সংস্কৃতিতে, হাত বাড়িয়েছেন বৃহত্তর শিল্পভুবনে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক, দৈশিক ও বৈশ্বিক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন বহু উপাদানে ঋদ্ধ ও আলোড়িত আবুল হাসনাত সংস্কৃতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ তার প্রতিনিধি, জাতীয়ভাবে প্রভাব সৃষ্টিকারী বড়মাপের বহু কাজের কাজি তিনি। সম্পাদক হিসেবে তাঁর কীর্তি এই বৃহত্তর সাহিত্যিক-শৈল্পিক-সামাজিক মুক্তি আন্দোলন থেকেই উৎসারিত। তাই তাঁকে দেখা দরকার বড় পরিসরে, তিনিই গাইতে পারেন উদাত্ত স্বরে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার মুক্তি আলোয় আলোয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। এই মুক্তিচেতনার সাহিত্যিক-শৈল্পিক বার্তা তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন বহুজনের মধ্যে, জীবনভর যে সাধনা তিনি করে গেছেন নিষ্ঠাভরে। অনন্য সম্পাদক তিনি বটে, তবে তার চেয়েও বেশি অনন্য মুক্তিসাধক শিল্পপূজারি। শিল্প ও মুক্তি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুইয়ের মিলনে তাঁর সম্পাদক সত্তা, যা স্নাত করেছে কয়েক প্রজন্মের জীবনধারা। তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি জন্মবার্ষিকীতে।</span></span></span></span></span></p>