<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কারো হাতে ক্যানুলা, কারো মুখে নেবুলাইজারের মাস্ক। মায়ের কোলে শিশুদের এই দৃশ্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের। আবার পুরনো বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট স্ক্যানুতে সিটের ১০ গুণ নবজাতক ভর্তি থাকায় সেখানেও নেই তিল ধারণের ঠাঁই। তীব্র গরমে ঘাম থেকে সৃষ্ট ঠাণ্ডাজনিত রোগের কারণে এই ভিড় হাসপাতালে। চিকিৎসক ও নার্সরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন সেবা দিতে। গত এক সপ্তাহে ২১ নবজাতক ও দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এই হাসপাতালে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পরিদর্শন করে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ড, স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু) ও বহির্বিভাগ সর্বত্রই শিশু রোগীতে ঠাসা। হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত স্ক্যানুতে গিয়ে দেখা যায়, নবজাতক নিয়ে স্বজনদের দীর্ঘ লাইন। স্ক্যানুসংলগ্ন কক্ষটি নবজাতকের মা এবং স্বজনদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ। স্ক্যানুতে ১১টি সিট থাকলেও শনিবার সেখানে ভর্তি ছিল ৯৫ নবজাতক। সেখানে প্রতিদিনই একাধিক নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। এতে স্বজনদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে আসে। শুক্রবার সেখানে মারা যায় তিন নবজাতক। এখানে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত ২১ নবজাতকের মৃত্যু হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নবজাতকের চিকিৎসা নিতে আসা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাগুনিপাড়া গ্রামের জনাব আলী নামের এক অভিভাবক বলেন, ডাক্তার বলেছেন তাঁর শিশুকে ৭২ ঘণ্টা থেরাপি দিতে। কিন্তু স্ক্যানুতে লম্বা লাইন থাকায় পাঁচ মিনিট পর পর সিটে শিশুদের শিফট করে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না। আর অনেক শিশুকে সেখান থেকে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে সিলেটে। প্রতিদিনই সেখানে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও তার স্বজনদের উপস্থিতির জন্য তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সেখানে সিট আছে ৫০টি। কিন্তু শনিবার সেখানে ভর্তি ছিল ২৪৭ শিশু। সেখানে গত এক সপ্তাহে দুই শিশু মারা গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাস জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এর কারণেই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেশি। সাধারণত গ্রামে অদক্ষ ডেলিভারির জন্য নবজাতককে মুমূর্ষু অবস্থায় এখানে আনা হয়। আর এই সিজনে ডেলিভারি থাকে বেশি। রোগীও হয় বেশি। ফলে মৃত্যুর পরিমাণও বেশি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিশু বিশেষজ্ঞের দুটি পদ থাকলেও এখন আছেন একজন। তার পরও আমরা শিশু ওয়ার্ডে সব সময় চিকিৎসক নিশ্চিত করছি। ফলে বিপুলসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>