<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকৃতিতে শীত আসা শুরু করতেই ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় খেজুরগাছের সুস্বাদু রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা। এবার দুই উপজেলায় অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ করছেন শত শত গাছি। কাকডাকা ভোরে গাছিরা কোমরে খেজুরগাছ কাটার সরঞ্জাম ও মাটির হাঁড়ি বেঁধে ছুটছেন রস সংগ্রহ করার জন্য। পরে সেই রস জ্বালিয়ে সুস্বাদু পাটালি গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। ভালো দামও পাচ্ছেন। গাছিদের দাবি, রস আর গুড় বিক্রি করে অন্তত ছয় মাস ভালোভাবে চলবে তাদের সংসার। পাশাপাশি আগামী পাঁচ মাসে লাখ টাকা করে আয় হবে প্রত্যেক গাছির। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সালথার হারুন অর রশিদ মিয়া ও রুকমান মোল্যা নামের দুই প্রবীণ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একসময় ফরিদপুরের খেজুরের গুড়ের নাম ছিল সারা দেশে। তখন আমাদের এলাকার প্রতিটি গ্রামের রাস্তার দুই পাশ দিয়ে ও ফসলি জমির আইলে খেজুরগাছের অভাব ছিল না। সে সময় কৃষকরা সকাল বেলা খেজুরের রসে মুড়ি ভিজিয়ে খেয়ে কাজে যেতেন। খেজুরের রস ও গুড়ের দামও কম ছিল। তবে একটা সময় এসে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করার আগ্রহ হারান গাছিরা। এতে কমতে থাকে খেজুরগাছের সংখ্যা। এ কারণে চড়া দাম দিয়েও এখন নির্ভেজাল গুড় পাওয়া মুশকিল। তারা আরো বলেন, সরকার যদি খেজুরগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয় ও পাশাপাশি গাছিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে, তাহলে খেজুরের রস ও গুড়ের ঐতিহ্য ধরে রাখা সম্ভব।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে সালথার যদুনন্দী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, খেজুরের রস আহরণের জন্য গাছিরা ভোরবেলা দড়ি-কাছি, ছ্যান ও দাও নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। গাছে উঠে প্রথমে তারা ধারালো দা দিয়ে খেজুরগাছের মাথার সোনালি অংশ বের করছেন। তারপর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে রাসায়নিক কোনো দ্রব্য ব্যবহার ছাড়াই খাঁটি গুড় তৈরি করছেন গাছি পরিবারের নারীরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সালথায় এবার অন্তত তিন হাজার খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ চলছে। আমরা গাছিদের একত্রিত করার ব্যবস্থা করছি। আমরা তাদের মানসম্মত গুড় তৈরি করে বাজারজাত করার পরামর্শ দেব। পাশাপাশি কেউ যাতে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে গুড় তৈরি না করে সে বিষয় সবাইকে সতর্ক করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>