<p>আয়াতের অর্থ : ‘তুমি যখন কোরআন পাঠ করো, তখন তোমার ও যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তাদের মধ্যে এক প্রচ্ছন্ন পর্দা রেখে দিই। আমি তাদের অন্তরের ওপর আবরণ দিয়েছি, যেন তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের বধির করেছি।...তা আমি ভালো জানি এবং এটাও জানি, গোপনে আলোচনাকালে জালিমরা বলে, তোমরা এক জাদুগ্রস্ত ব্যক্তির অনুসরণ করছ।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৪৫-৪৭)</p> <p>আয়াতগুলোতে হিদায়াত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. পাপ ও ধৃষ্টতার কারণে মানুষের চিন্তা-ভাবনায় যে অসারতা দেখা দেয় তা বুদ্ধি-বিবেকের জন্য পর্দাস্বরূপ। এর কারণে মানুষ সত্য অনুধাবন করতে পারে না।</p> <p>২. আয়াত থেকে বোঝা যায়, জ্ঞানার্জন ও কোনো বিষয় যথাযথভাবে অনুধাবনের জন্য শ্রবণ গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।</p> <p>৩. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শানে বেয়াদবি মানুষের ঈমান ও হিদায়াত থেকে চিরতরে বঞ্চিত হওয়ার কারণ। এ কারণেই মক্কার বহু কুরাইশ নেতা হিদায়াত থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।</p> <p>৪. মহানবী (সা.)-এর প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ এবং মন্দ বিশেষণ ব্যবহার করা ঈমানের পরিপন্থী।</p> <p>৫. অবিশ্বাসীদের সঙ্গে মুসলমানের বিশ্বাসগত প্রধান অমিল হলো শিরক। কেননা বেশির ভাগ মানুষ স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। (বুরহানুল কুরআন : ২/৩১০; জাদুল মাসির : ৫/৪০)</p>