<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যায়ণে এগিয়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেলে সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব। দেশটি পর্যটন খাত সম্প্রসারণের পাশাপাশি পারফিউম রপ্তানিতেও বিশাল বাজার তৈরি করছে। সাধারণত হজ ও ওমরাহ ঘিরে পর্যটকদের কাছে দেশটির পারফিউমের বিশাল চাহিদা রয়েছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে নাম লিখিয়েছে দেশটির পারফিউম খাত। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও পরিচিত হয়ে উঠছে দেশটির পারফিউম ব্র্যান্ডগুলো। সংশ্লিষ্টরা আশা করছে, আগামী এক দশকে সৌদি আরবে পারফিউমের বাজার বেড়ে দ্বিগুণ হবে।   </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সৌদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটির পারফিউম খাতের বাজার ছিল ১৮০ কোটি ডলারের। বাজারের বর্তমান চাহিদা অব্যাহত থাকলে ২০৩২ সাল নাগাদ এ বাজার হবে ২৮০ কোটি ডলারের। বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সুগন্ধির বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ১৪০০ বছর আগে পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্ম নেওয়া ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) আতর বা সুগন্ধি ভালোবাসতেন এবং ব্যবহার করতেন। ফলে ধর্মীয় কারণেও বিশ্বজুড়ে সৌদি আরবের আতর ও সুগদ্ধির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সৌদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম দশ মাসে সৌদি আরবের সুগন্ধি খাতে রপ্তানি হয়েছে ৪১ কোটি ৬০ লাখ সৌদি রিয়াল বা ১১ কোটি ৯ লাখ ডলারের পণ্য। অন্যদিকে একই সময়ে সুগন্ধি আমদানি বাবদ খরচ হয়েছে দেড় গুণ অর্থ বা ১১০ কোটি রিয়াল। সাধারণত ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে বেশির ভাগ সুগন্ধি আমদানি করে সৌদি আরব। এ ছাড়া পর্যটন ও বিনোদন খাতের সম্প্রসারণের কারণেও দেশটির সুগদ্ধি বাজার বেশ চাঙ্গা। এতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্যও নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবে পারফিউম তৈরি ও বোতলজাত করে এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন দিন দিন বাড়ছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, সুগন্ধিশিল্পে বিনিয়োগের জন্য নাগরিকদের আগ্রহ বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের প্রভাব পড়ছে পারফিউম-শিল্পে। এ ছাড়া কেনাকাটায় নারীদের অংশগ্রহণের প্রভাবও পড়ছে এ শিল্পে। সৌদি আরবের সুগন্ধি বাজারে গুরুত্ব পাচ্ছে বিলাসী পণ্য ও ঐতিহ্যের অগ্রাধিকার। এখানকার প্রিমিয়াম পণ্যগুলো উচ্চমানের উপাদানে তৈরি। উৎপাদন প্রক্রিয়ায়ও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়। ফলে এ দেশের ব্র্যান্ডগুলোর কদর বিশ্বজুড়েও বাড়ছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ বিষয়ে গবেষণা সংস্থা পিঅ্যান্ডএস ইনটেলিজেন্সের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দ্র মোহন জানান, সৌদি আরবে ভোক্তাদের পারফিউম ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে দেশটিতে প্রিমিয়াম সুগন্ধির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সংস্থাটির সংগৃহীত ডাটা থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালে সৌদি আরবের বিলাসপণ্যের বাজারের একটি বড় অংশ ছিল সুগন্ধিসামগ্রী। এর মধ্যে প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড তুলনামূলক এগিয়ে ছিল, যা এ খাতের প্রায় ৯০.০৯ শতাংশ। সৌদি অভিজাতদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এ ধরনের পণ্যের প্রধান ক্রেতা বলে জানা যাচ্ছে। চন্দ্র মোহন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সৌদি প্রিমিয়াম মানের পারফিউমগুলো উচ্চমানের উপাদান দিয়ে তৈরি। এসব পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি দেশটিতে নামি ব্র্যান্ডের বাজার বাড়াচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান তাঁর ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনছেন এবং একের পর এক বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। তাঁর লক্ষ্য পূরণে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কম্পানিগুলো। এ ক্ষেত্রে দেশটি জ্বালানি তেল ছাড়িয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে পর্যটন খাত সম্প্রসারণ ও সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে শক্তিশালী করায়। ফলে এই সুযোগে দেশটিতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠছে সুগন্ধিশিল্প। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র : আরব নিউজ</span></span></span></span></span></p>