<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলায় গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করেছে সরকার। একই সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর রাত ১২টা থেকেই কারফিউ শুরু হয়েছে। নৈরাজ্য করলে দুর্বৃত্তদের দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সংঘাত নিরসনে জেলা প্রশাসকদের অধীনে কাজ করবে সেনাবাহিনী। জরুরি পরিষেবা কারফিউয়ের আওতামুক্ত থাকবে। নৈরাজ্য করলে দুর্বৃত্তদের দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, প্রথম ধাপে আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে। দ্বিতীয় ধাপে আজ দুপুর ২টা থেকে আগামীকাল রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চলবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কারফিউ ও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স ও সংবাদপত্রসহ জরুরি পরিষেবা কারফিউয়ের আওতামুক্ত থাকবে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ফ্লাইটের যাত্রীদের চলাচলের সময় সঙ্গে টিকিট রাখতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে দুর্বৃত্তরা গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও সহিংস হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে সারা দেশে সংঘর্ষে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে দুই হাজারের বেশি। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বহু স্থাপনা ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাজধানীর সড়কে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুব বেশি দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকের উপস্থিতি দেখা গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকারবিরোধীদের হাতে চলে গেছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমর্থক সন্ত্রাসীরা জ্বালাও-পোড়াও ও সহিংসতা চালাচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক দাবি করেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাঁদের ব্যানার ব্যবহার করে কেউ যদি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়, এটা তাঁরা সমর্থন করবেন না।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম গণমাধ্যমকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোটা সংস্কার আন্দোলন অরাজনৈতিক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা আমরা সমর্থন করি না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল নিহত ৩৯ জনের মধ্যে ঢাকায়ই ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সিলেটে দুজন, রংপুরে দুজন, বগুড়ায় একজন, কক্সবাজারে একজন, মাদারীপুরে একজন, নরসিংদীতে একজন এবং ময়মনসিংহে একজন নিহত হয়। পুলিশ ও বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে গত চার দিনে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকা মহনগরীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কিন্তু এসব উপেক্ষা করে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ চলে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। একাধিক জায়গায় সাউন্ড গ্রেনেড, গুলি ও টিয়ার শেলের শব্দ শোনা যায়। মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরনো ভবনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মালিবাগ থেকে শান্তিনগর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেওয়া হয়। রাজধানীর বনশ্রীর পিবিআই কার্যালয়, মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রো রেলের সিঁড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে দুর্বৃত্তরা গতকাল নরসিংদীতে কারাগার ভেঙে পাঁচ শতাধিক আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে। কারাগারের অস্ত্র ও মালপত্র লুট হয়েছে। কারাগারের জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া নরসিংদী জেলা পরিষদ ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। মাধবদী পৌরভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজধানীতে সকাল ১১টার পর থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলে। কোথাও কোথাও পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে মাঠে নামা দুর্বৃত্তদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, রামপুরা, বাড্ডা, পল্টন, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, বাটা সিগন্যাল, এলিফ্যান্ট রোড, মোহাম্মদপুর, মিরপুর-২, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, সাভারসহ বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকার বাইরে সিলেট, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, হবিগঞ্জের বানিয়াচং, মাদারীপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, বগুড়া, চট্টগ্রাম, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ একাধিক স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত সংঘর্ষে নিহত ২২ জনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীবাজার এলাকায় সংঘর্ষে নিহত হন কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক (২৩)। মিরপুর ১০-এর সংঘর্ষে নিহত হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী আকরাম খান রাব্বি (২৫), যাত্রাবাড়ী এলাকায় মোবারক (৩২) ও  আব্দুল মাজিদ (১৮), আফতাবনগরের মোহাম্মদ রাজিব হোসেন (২২), মুগদা এলাকার জাফর হাওলাদার (৪৫), যাত্রাবাড়ী এলাকার অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি (২৫), বাড্ডার আব্দুল গণি (৪৫), বাড্ডা লিংক রোডের সোহাগ (২০), পল্টন এলাকায় পাবেল (২৫), গত বৃহস্পতিবার আজিমপুরে সংঘর্ষে আহত ব্যাংকার মো. দুলালসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির লাশ রাখা হয়েছে, যাঁরা চলমান সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গেও পাঁচজনের লাশ রয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুপুর পর্যন্ত ১৯৩ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিলেও বিকেল নাগাদ তিন শ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে দেড় শর মতো অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। মারা গেছেন চার-পাঁচজন। আরো কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে, তবে সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কবি নজরুল কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদ নিহত হয়েছেন। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের কবি নজরুল কলেজের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গতকাল সাভার বাসস্ট্যান্ডে সংঘর্ষে আলামীন (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নিরাপত্তাকর্মী জুয়েল মোল্লা (৩২) দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে এ টি এম তুরাব নামের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদে কর্মরত ছিলেন। সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষে পুলিশের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তাঁর নাম রুদ্র সেন। তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তমিজ উদ্দিন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বগুড়ায় গতকাল বিকেলে স্টেশন রোডে দফায় দফায় মিছিলের চেষ্টা করেছে আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশের বাধায় বারবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আন্দোলনকারীরা আবারও সমবেত হলে পুলিশের গুলিতে একজন আহত হয়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া নার্সিং হোমে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালেই রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কক্সবাজারে গত বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে আহত এহসান হাবিব (২২) নামের একজন গতকাল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। তিনি বিআরবি কেবলের কর্মী ছিলেন। তাঁর বাড়ি চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী গ্রামে। মাদারীপুর সদরের খাগদী এলাকায় আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে রুমান ব্যাপারী (৩২) নামের একজন পথচারী নিহত হয়েছেন।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ময়মনসিংহ নগরের মিন্টু কলেজ এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরকারবিরোধী ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের সময় রেদোয়ান হাসান সাগর (১৮) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রংপুরেও চলমান সংঘর্ষে দুজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নগরীর গণেশপুরে সংঘর্ষে মিলন মিয়া (২৬) নামের এক দোকান কর্মচারী এবং কাচারিবাজার এলাকায় সাজ্জাদ (২৮) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। নরসিংদীর মাধবদীতে সংঘর্ষে শাওন নামের একজন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রীসহ মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের আশপাশ এলাকা, মহাখালীর রেলগেটকেন্দ্রিক কাঁচাবাজার ও মিরপুর এলাকায় বেশি তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এসব এলাকায় হতাহতের ঘটনাও বেশি। প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সড়কের পাশের দোকানেও আগুন দিয়েছে হামলাকারীরা। তারা থানাও ঘেরাও করেছে। এসব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে হামলাকারীদের। এতে সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একটি শিশু, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রামপুরা থেকে বাড্ডায় ব্যাপক সহিংসতা</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা, বনশ্রী, মেরুল বাড্ডা, উত্তর ও মধ্যবাড্ডা, শাহজাদপুরসহ ভাটারা থানার আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয় কয়েক শ লোকজন। তাদের হাতে ছিল লাঠি, রডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। এ সময় তাদের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ছিল। তারা সাউন্ড গ্রেনেডের পাশাপাশি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত দুই শতাধিক লোকজন আহত হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছিল কম। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উঠতি কিশোর ছিল বেশি। তারা রামপুরা ব্রিজের পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে ইট ও পাথর ছুড়তে থাকে। তখন পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বনশ্রীতে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান ছিল বেশি। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপকভাবে ইট ও পাথর ছুড়তে থাকে। সেই সঙ্গে তারা সড়কে টায়ার ও বাঁশের খুঁটিতে আগুন ধরিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা হাতিরঝিলের আশপাশেও আগুন দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকেও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। এতে কয়েক শ লোক আহত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য কের গুলিও করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিক্ষোভকারীরা সড়কের আইল্যান্ডের লোহার ব্যারিকেড ভেঙে সড়কে রেখে দেয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পল্টনে বিক্ষোভ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল জুমার পর রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলার মোড় পর্যন্ত ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় একজন যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হয় অনেকে। তবে তাত্ক্ষণিকভাবে নিহত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ডেইলি অবজারভারের আজিজুর রহমান মিলন, খবরের কাগজের মাসুদ পারভেজসহ (ফটোগ্রাফার) বেশ কয়েকজন দায়িত্ব পালনকালে আহত হয়েছেন। অন্যদিকে পুরানা পল্টন থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীসহ শিশুও ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত চারজন গুলিবিদ্ধসহ অনেকে আহত হয়। গতকাল সকাল থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশাপাশি বসিলা, শিয়া মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা মোহাম্মদপুর থানা ঘেরাওয়েরও চেষ্টা করে। তারা সড়কের বিভিন্ন সরঞ্জামে আগুন দেয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট ও বাদুড়তলা সড়কে গতকাল পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের সময় মো. ওসমান নামের এক দোকান কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ রাতেও চলছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে চারজন আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. তসলিম উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><img alt="সারা দেশে কারফিউ, সেনা মোতায়েন" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/07.July/20-07-2024/1.jpg" width="1000" /></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মাঠে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক মেহেদী। তাঁর মরদেহ আনতে গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী নিপা, কোলে তাঁদের শিশুকন্যা নিশা। <strong>ছবি : মঞ্জুরুল করিম</strong></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>