<p>রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে আহত হয়ে মো: নাসির বিশ্বাস (২৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সেখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছিল। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বেড়িবাধ এলাকায় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানসংলগ্ন সাদেক খান কাঁচামালের আড়তের সামনে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো: মাসুদ বলেন, নাসিরের মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।</p> <p>নিহত নাসির মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার বালিগ্রামের মো: শাহ আলম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি রায়েরবাজার বারৈইখালী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। পরিবারে পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ ছিলেন।</p> <p>ঘটনার সময় নাসিরের সঙ্গে ছিলেন তার এলাকার বড় ভাই শাওন। তিনি নিজেও সামান্য আহত হয়েছেন। শাওন জানান, তারা দুজন মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। বুদ্ধিজিবী কবরস্থানের পাশে সাদেক খান কাঁচামালের আড়তের সামনে দিয়ে যাওয়া সময় একদল অস্ত্রধারী অন্য এক গ্রুপের লোকজনকে ধাওয়া করছিল। এ সময় কয়েকজন তাদের মোটরসাইকেলের পেছনে এসে নাসিরকে কোপ দেয়। ভয়ে নাসির নেমে দৌড় দেন। পরে তারাও পিছু নিয়ে নাসিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। শাওন প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করা হয়।</p> <p>তিনি আরো জানান, পরে নাসিরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় শিকদার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং স্বজনদের খবর দেন। পরে রাতে ঢামেক হাসপাতালে নাসিরকে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত পৌনে ৮টায় নাসিরকে মৃত ঘোষণা করেন। </p> <p>নিহতের বড় ভাই ইসলাম বিশ্বাস বলেন, তার ভাই নাসির নির্মাণকাজে লেবার সুপারভাইজারের কাজ করতেন। তিনি মুলত একজন দিনমজুর। এদিন বিকেলে তিনি বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। পরে তিনি খবর পান, তার ভাইকে ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী কুপিয়েছে। পরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে নাসিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।</p>