<p style="text-align:justify">নৌপরিবহণ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম ফেইজের কাজ শেষ হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ফেইসের কাজ চলছে। এই ফেইজের কাজ শেষ হলে আগামী ২০২৯ সাল নাগাদ বন্দর চালু করা যেতে পারে। তারপরই এটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে ২০৫১ সাল পর্যন্ত।</p> <p style="text-align:justify">সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে দুইদিনের কক্সবাজার সফর শেষ করে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">নৌপরিবহণ উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দরের এই পরিকল্পনায় সাগরের নিরাপত্তা ইস্যুটি ছিল না। এখন নতুন করে সেটা ভাবতে হবে। তিনি মনে করেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্ত হলে নিরাপত্তা বিষয়টি তখন সামনে চলে আসবে। সেটা চিন্তা করেই বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বক্তব্য স্পষ্ট করলেন রাষ্ট্রপতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729518911-3665ec790f77d363e0d460c02cc3d68f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বক্তব্য স্পষ্ট করলেন রাষ্ট্রপতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/21/1437607" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, দ্বিতীয় ফেইজে যে কাজ করা হচ্ছে, তাতে এই বন্দরে একসঙ্গে ৪টি মাদার ভ্যাসেল ভিড়তে পারবে। বর্তমানে দেশের কোনো বন্দরে মাদার ভ্যাসেল ঢুকতে পারে না।</p> <p style="text-align:justify">উপদেষ্টা বলেন, এই কাজে জাইকা খুবই আন্তরিক। তারা যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা জানান, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের তৃতীয় ফেইজের কাজে জ্বালানি নিয়ে কাজ করা হবে। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এটি শেষ হতে ২০৫১ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো জানান, কক্সবাজারসহ দেশে ৭টি লাইট হাউস নির্মাণের কাজ চলছে। এগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এগুলো দিয়ে ২৬ কিলোমিটার পর্যন্ত জাহাজের অবস্থান নির্ণয় করে সংকেত পাঠানো যাবে। সেইসঙ্গে থাকবে রেডিও সিগন্যালও।</p> <p style="text-align:justify">কিছুদিনের মধ্যে পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। কিন্তু সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ যেতে হলে নাফনদীর মিয়ানমার অংশের পাশ দিয়ে যেতে হয়। নাফনদীর ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নাফনদীর ড্রেজিং করার কোন পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগামী একবছরের মধ্যে এটা সম্ভব নয়। ড্রেজিং করলেও ওই রুট দিয়ে এই মুহূর্তে জাহাজ চালানো যাবে না।</p> <p style="text-align:justify">এই উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলে এখনও যুদ্ধ চলছে। ভেতরে কী হচ্ছে আমি জানি না। তবে আশা করা যাচ্ছে, আগামী একবছরের মধ্যে ওই অঞ্চলে হয়তো আরকান আর্মি থাকবে, না হয় মিয়ানমার বাহিনী থাকবে। হতে পারে দুটো বাহিনীই থাকবে। তখন হয়তো শান্ত পরিস্থিতিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চালানো যাবে। তবে তিনি বিকল্প রুটে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন বলেও নিশ্চয়তা দেন।</p> <p style="text-align:justify">কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৪ বছর ধরে এই ঘাট নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের মধ্যে ঝগড়া চলছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, এটার যতদ্রুত সম্ভব সমাধান করে ফেলার।</p> <p style="text-align:justify">সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওই ঘাট চালু করার জন্য আমরা প্রস্তুত হয়ে আছি। সমস্যার সমাধান হলে কক্সবাজারের কস্তুরাঘাট থেকে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া রুটে নৌ চলাচল শুরু করা যাবে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি নৌবাহিনীর তারকা হোটেল ‘স্বপ্নীল সিন্ধু’তে এই ব্রিফিং করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুকসহ নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন রবিবার কক্সবাজার আসেন। দুইদিনের এই সফরে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি চ্যানেল ও ব্রেক ওয়াটার পরিদর্শন করেন।</p>