<p>কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়ায় পাচারকালে রোহিঙ্গাসহ ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয়েছে মানবপাচারে জড়িত নারীসহ তিন দালালকে।</p> <p>আটক দালালরা হলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার দীল মোহাম্মদের স্ত্রী লুনা বেগম ও একই এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে মো. রিদুয়ান এবং সাবরাং ইউনিয়নের কচুবুনিয়া এলাকার সাকের হোসাইনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জামাত-শিবির ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করেছে : জয়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729090482-3dd629867da601af03037f5e0aeefb41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জামাত-শিবির ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করেছে : জয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/16/1435835" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি আটজন হলেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গার মধ্যমপাড়ার মমতাজ আলীর ছেলে আবদুল মাবুদ, একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে শাহাজাহান, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের টেক্সিব্রিজ এলাকার আজিউর রহমানের জহুর আলম, কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনারপাড়া এলাকার শওকত ওসমানের ছেলে আবদুর রহিম, মহেশখালীর মুন্সির ডেইল নুরুল আমিনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, একই এলাকার মুন্সির ডেইলের রহমত উল্লাহর ছেলে মো. সোহেল, রামুর কাউয়ারকোপ এলাকার মৃত আবুল খায়েরের ছেলে মনিরুল আলম, কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর নয়াপাড়ার মমতাজ মিয়ার ছেলে মনজুর আলম।</p> <p>উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন টেকনাফের হাকিমপাড়া ক্যাম্পের রহমত উল্লাহর ছেলে আয়াত উল্লাহ, বালুখালি ক্যাম্পের মো. আমিনের ছেলে নেছার উল্লাহ, কুতুপালং ক্যাম্পের রহমত উল্লাহর ছেলে শফি আলম, জামতলি ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর ছেলে নুর আলম, বালুখালি ক্যাম্পের মির আহমদের ছেলে ছৈয়দ কাছিম, একই ক্যাম্পের মো. আমিনের ছেলে নুর আবছার, শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্পের মো. কবিরের ছেলে মো. নজরুল, কুতুপালং ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর ছেলে দিল কায়েস, থাইংখালি ক্যাম্পের নুর ছালামের মেয়ে সাবেকুন্নাহার, একই ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর মেয়ে ধলু বেগম, দিল মোহাম্মদের মেয়ে উম্মে হাবিবা, কুতুপালং ক্যাম্পের নুর মোহাম্মদের মেয়ে মিনুয়ারা বেগম।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আসায় ঢাকার গভীর উদ্বেগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729089957-4c77cf2d6e2376444f1f7892e80d1c19.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আসায় ঢাকার গভীর উদ্বেগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/16/1435833" target="_blank"> </a></div> </div> <p>টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে বেশ কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাসহ লোকজন জড়ো করার খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বাড়িটি ঘিরে ফেললে ৫-৬ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বসতঘরটি তল্লাশি চালিয়ে নারীসহ ১২ জন রোহিঙ্গা এবং ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়।</p> <p>আটক দালাল ও উদ্ধার হওয়াদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সম্প্রতি সাগরপথে মানবপাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র হয়ে উঠেছে। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করেছিলেন আটক দালালরাসহ চক্রটির সদস্যরা । </p> <p>আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা এবং উদ্ধার হওয়াদের স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠাতে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান গিয়াস উদ্দিন।</p>