<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা কূপের লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাস ব্যবহার করছিলেন অন্তত চার-পাঁচটি গ্রামের মানুষ। লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাসকে বলা হয় উড়াল গ্যাস। ঝুঁকিপূর্ণভাবে এই গ্যাস অনেক বাড়িতে ব্যবহার করা হয়। অবৈধভাবে ওই গ্যাস ব্যবহার বন্ধে এবার অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। </p> <p>মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর ও বাকাইল গ্রামের পাশে তিতাস নদীতে অবৈধ গ্যাসের পাইপ লাইন উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে উড়াল গ্যাস ব্যবহার কাজে ব্যবহৃত তিতাস নদীতে অবৈধভাবে স্থাপন করা ২২টি গ্যাস উত্তোলন ট্যাংক (ড্রাম) ও প্রায় ছয় হাজার মিটার পাইপ অপসারণ করা হয়। </p> <p>ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী, জেলা প্রশাসনের নেজারতে ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ইকরামুল হক নাহিদসহ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং সদর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ৩ নম্বর কূপটি ২০০৬ সালে বন্ধ হয়ে দেওয়া হয়। তবে এটি দিয়ে গ্যাস লিকেজ হচ্ছিল। তিতাস নদী তলদেশ ও বিভিন্ন নলকূপ দিয়ে বের হওয়া গ্যাস ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবহার করছিলেন চার-পাঁচটি গ্রামের লোকজন।</p> <p>অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ইউএনও সেলিম শেখ জানান, একটি চক্র অনিরাপদভাবে বাসা-বাড়ি ও কারখানায় গ্যাস ব্যবহার করছিল। অভিযানের সময় উদগিরিত গ্যাসের মূল জায়গায় সরবরাহ লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ড্রাম ও পাইপ জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।<br />  <br /> বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কম্পানি লিমিটেডের জিএম (অপারেশন) মো. আশরাফুল আলম জানান, ২০০৬ সালেই তিতাসের ৩ নম্বর কূপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে লিকেজ দিয়ে যে গ্যাস বের হচ্ছে তা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।</p>