<p>ফরিদপুরের ভাঙ্গায় লালন আনন্দধামে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লালন ফকিরের ছবি, মূল্যবান গ্রন্থ ও জার্নাল, একতারা, দোতারা, খমক, গিটারসহ বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করে ও পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।<br />  <br /> ১১ বছর আগে ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে এ লালন আনন্দধাম প্রতিষ্ঠা করেন সদরপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জাহিদ হাসান (৪২)। তিনি একাধারে কবি, লেখক, গবেষক ও শিল্পী। ইতোমধ্যে তার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠিত আনন্দধামে লোকসাহিত্য নিয়ে গবেষণাসহ লোকগান ও লালনসংগীত, রবীন্দ্র-নজরুল-জসীমউদ্দীনের জন্মজয়ন্তী পালনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।<br />   <br /> আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়ে সৈয়দ জাহিদ হাসান জানান, কয়েক দিন আগে একদল দুর্বৃত্ত আনন্দধামের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এই আনন্দধামটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা গাছ বেয়ে ভেতরে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আনন্দধামের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বই ও বাদ্যযন্ত্র এক জায়গায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। </p> <p>ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা একটি গিটার, একতারা, কিছু বই এবং হারমোনিয়াম এক জায়গায় এনে পুড়িয়েছে। লালন শাহের ছবিটি ছিঁড়ে ফেলেছে তারা। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p>